সুজিৎ নন্দী : [২]বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস. এ. সাইদ সুফি বলেছেন, করোনার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা। করোনা রোধে সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী দোকান ও মার্কেট বন্ধ রাখা হয়েছিলো। এখন সামান্য কয়েকটি মার্কেট খোলা হয়েছে। এ সব প্রতিষ্ঠানের প্রায় এক কোটি কর্মচারির এখন ঘরে অবস্থান করছেন।
[৩] বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির পাশাপাশি মহানগর দোকান মালিক সমিতির পাশাপাশি চশমা বণিক সমিতিরও পরিচালক এস. এ. সাইদ সুফি। দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সচল রাখার পাশাপাশি কর্মচারীদের একই অবস্থায় টিকিয়ে রাখতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতার বিকল্প নেই।
[৪] ব্যবসায়িদের একটি তথ্য উল্লেখ করে এস. এ. সাইদ সুফি বলেন, দেশে ক্ষুদ্র পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাদের কর্মচারি ১৫ জনের নিচে এমন সংখ্যা ৫৩ লাখ ৭২ হাজার ৭১৬টি প্রতিষ্ঠান। যা দেশের মোট ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ৩৯ ভাগ। পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের ৮৫ ভাগ। এসব প্রতিষ্ঠানে মোট কর্মচারীর সংখ্যা ৯৭ লাখ ১৩ হাজার ৯২৯ জন। গড়ে তাদের প্রতি মাসে বেতন ১৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ট্রান্সপোর্টসহ ক্ষদ্র পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীরা জিডিপিতে ২৪ দশমিক ৬০ ভাগ অবদান রাখছে।
[৫] বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব, সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজ, তথ্য প্রযুক্তির সর্বেচ্চ শেখরে আছি। তিনি আরো বলেন, ক্ষুদ্র পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন নগদ টাকা লেনদেন করে। এই টাকা থেকেই কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করা হয়। বর্তমানে দোকান বন্ধ থাকায় তারা নগদ টাকা পাচ্ছেন না। ফলে কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করতে পারছেন না।
[৬] সাইদ সুফি আরো বলেন, ব্যবসায়ীরা শুধু ব্যবসা করে এটা ভাবা ঠিক নয়। তারা ব্যবসা করেন বলেই মানুষের কর্মসংস্থান হয়, দেশের অর্থনীতি সচল থাকে। এই সত্য কথাটাকে সবার উপলদ্ধি করতে হবে। তবে বড় ব্যবসা এখন মাঝারি এবং ক্ষুদ্র ব্যবসাকে গিলে খাচ্ছে। এটা ঠেকাতে সরকারকে ভূমিকা রাখতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :