মনজুর এ অনিক: নারায়ণগঞ্জে প্রতিনিধি: [২] একটি গার্মেন্টেসের বেতন—বোনাসের দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ চলাকালিন পুলিশের সাথে শ্রমিকদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।এতে ৩০/৩৫ জন শ্রমিক আহত হয়েছে এবং কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে।
[৩] মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় কায়েমপুর এলাকায় ফকির নিটওয়্যারে কারখানায় এই ঘটনা ঘটে।
[৪] এসময় সিভিল সার্জন ও সদর উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কারখানাটি পরিদর্শনে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে।
[৫] প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ এবং জেলা করোনা বিষয়ক ফোকাল পারসন ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম ফকির নিটওয়্যার কারখানা পরিদর্শনে যান। এ সময় কারখানার শ্রমিকেরা তাদের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। কারখানায় নির্মাণকাজে ব্যবহৃত লোহার রড ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। হামলায় সিভিল সার্জনের গাড়ির চালক সুরজ্জামানের মাথা ফেটে যায় এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তার গাড়ির চালক জালাল মিয়া আহত হন। শ্রমিকেরা জাহিদুল ইসলামকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। সিভিল সার্জন তাঁর গাড়ি নিয়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন।
[৬] সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ জানান, পোশাক কারখানাটির ১০ জন শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওই কারখানায় কেন করোনা রোগী বাড়ছে, স্বাস্থ্য সুরক্ষা মানা হচ্ছে কি না? সেটি দেখার জন্য তাঁরা পরিদর্শনে যান। কিন্তু হঠাৎ করে পোশাক শ্রমিকেরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন। তাঁর ও জাহিদুল ইসলামের গাড়ি ভাংচুর করেন। তিনি কারখানা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হলেও জাহিদুল ইসলাম আটকা পড়ে আছেন।
জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল ইসলাম জানান, বেতন—বোনাসের দাবিতে ওই কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ চলছিল। সিভিল সার্জন ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সেখানে গেলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের হামলা ও ভাংচুর চালায়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে কারখানার কর্মকর্তাদের মোবাইলফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও কারো বক্তব্যে নেয়া যায়নি। সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :