সোহেল রানা,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: [২] সম্প্রতি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ সোনালী ব্যাংক শাখায় একজন অফিস সহকারী ও একজন আনসার সদস্যের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়।
[৩] তার পরেও করোনা ঝুঁকি নিয়ে অনেকেই ভাতা নিতে এসেছেন।
[৪] বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। করোনা শনাক্ত হওয়ার জন্য ব্যাংক কিছু দিন লকডাউন রাখা হয়। কিন্তু ব্যাংকটি উপজেলার সরকারী-বেসরকারী ও বিভিন্ন ধরনের ভাতা প্রদানে সম্পৃক্ত থাকায় পুনরায় আবারও লেনদেন শুরু করা হয়। তবে এসব লেনদেনে ব্যাংক কর্মকর্তারা কোন ধরনের সামাজিক দুরত্ব ও সর্তকতা ছাড়াই করছেন।
[৫] মঙ্গলবার (১৯মে) সকাল ১২ ঘটিকায় সোনালী ব্যাংক কমলগঞ্জ শাখায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় বয়স্ক ভাতা নিতে আসা বয়স্ক মানুষের উপচেপরা ভিড়। ব্যাংকের ভিতর থেকে বাহির পযন্ত প্রায় ১৫০ ফুট লম্বা সারি। নেই কোন সামাজিক দুরত্ব, আবার দেখা গেছে অনেকের মুখে নেই কোন মাস্ক।
[৬] এত জনসমাগম দেখে ব্যাংকের পাশে থাকা ব্যবসায়ীরা আতঙ্কের মধ্যে আছেন। বিষয়টি নিয়ে সচেতন মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে ভাতা প্রদান করা করোনা ভাইরাসের প্রভাব বিস্তার করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
[৭] এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক কমলগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল কাইয়ুম মাসুম জানান, সামনে ঈদ এবং আগামী বুধবার ব্যাংকের শেষ কর্মদিবস যার কারনে মানুষের ভিড়, তবে আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশের মাধ্যমে সামাজিক দুরত্ব যতটুকু বজায় রাখা যায় সে চেষ্টা করেছি। তারপরও মানুষ ভিড় করছে। আমরা ঝুঁকি নিয়ে লেনদেন করছি। সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :