পিরোজপুর থেকে বিপ্লব বিশ্বাস : [২]এবার সেই ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তার অফিস সহকারী। পিরোজপুর জেলা প্রসাশকের কাছ দেয়া অভিযোগের তদন্ত ও শুরু করেছেন বলে জানা যায়।
[৩] উল্লেখ্য,এর আগে এই ইউএনও লকডাউনে স্বরূপকাঠী বাজারে দোকানিদের ফল সবজি রাস্তায় ফেলে দেয়। এ সময় এক মুক্তিযোদ্ধা তার প্রতিবাদ করলে তাকেও লাঞ্ছিত করেন তিনি। পরে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়।
[৪] পিরোজপুরের স্বরূপকাঠীর সদ্য বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার আব্দুল্লাহ মামুন বাবুর অফিস সহায়ক মিজান এ প্রতিবেদককে জানান, ইউএনও সরকার আক্দুল্লাহ্ মামুন বাবু স্বরূপকাঠীতে যোগদানের পর তার বাস ভবনের আসবাবপত্রসহ অফিসের বেসকিছু জিনিসপত্র কিনে দিতে বলেন। পরে মূল্য পরিশোধ কথা বলে আমি ধাপে ধাপে স্থাণীয় বাজার থেকে ইউএনও অফিস ও বাসভবনের জন্য আসবাবপত্র এনে দেই। ইউএনও দীর্ঘ দিনেও তার মূল্য পরিশোধ না করায় ব্যাবসায়িদের চাপে বাধ্য হয়ে লোণ করে ২লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা শোধ করি। পরে ইউএনওর কাছে ওই টাকার তাগাদা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সোকজ করার হুমকি দেয়। টাকা চাওয়ায় নভেম্বর ও ডিসেম্বর ২০১৯ দুই মাসের বেতন কেটে নেন তিনি।
[৫] তিনি আরো বলেন, এগুলো অস্বীকার করার কিছু নাই কারণ সকল মালামাল তার অফিস ও বাস ভবনেই রয়েছে। তিনি বদলি হওয়ায় পাওনা টাকা চাইলে উল্টো তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করেন। যা বতর্মান এ ব্যানবেইজ কর্মকর্তা বেল্লাল হোসেনকে দিয়ে তদন্ত শুরু করেন
[৬] এব্যাপারে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সংগে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মিজানের অভিযোগ আজকে পিরোজপুর এসে আমি শুনেছি। এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা।
অন্যদিকে, খাদ্য গোডাউন থেকে এই ইউএনও ৪টন চাল নেয়ার পর। মূল্য পরিশোধে নয় ছয়ের করেন। এক পর্যায় কাবিখার ডিউ দিয়ে সমাধাণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইন্দ্রেরহাট সরকারি খাদ্য গোডাউনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।
[৭] তিনি আরও বলেন, কাবিখার চাল কিনে অনেকেই ত্রাণ দিচ্ছেন। সে অনুযায়ী ইইএনও সরকার আব্দুল্লা মামুন বাবু আমার থেকে চার টন চাল নিয়েছিলেন। যা নতুন করে কাবিখার চাল দিয়ে সমাধাণ করেছেন।
[৮] এব্যাপারে, ওই ইউএনও বলেন, আমার নামে ত্রাণের চাল ডিউ হয়না, কুড়িয়ানার মিঠুন হালদার চার টন চাল নিয়ে ছিল। আর কাবিখার নতুন ডিউ হয়েছে সমুদয়কাঠীতে। আমি রাজবাড়ি জেলায় এডিসি হিসাবে যোগদান করব। এ নিয়ে আমার হাতে এখন আর কিছু নেই।
আপনার মতামত লিখুন :