নিউজ ডেস্ক : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) শনাক্তের পরীক্ষা বাড়াতে হিমশিম খাচ্ছে। নমুনা পরীক্ষার জন্য রাজধানীতে ২১টি ল্যাব থাকলেও এর সাতটিতেই নিয়মিত নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে না। পিসিআর মেশিন ও পর্যাপ্ত দক্ষ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকায় পরীক্ষা হচ্ছে কম। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, নমুনা পরীক্ষার পরিধি সামনে আরও বাড়বে।
শ্বাসকষ্ট ও জ্বরে আক্রান্ত আবু সাইদ। ৫০০ শয্যার মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করাতে আনলে মূল ফটকেই আটকে দেয়া হয়। করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকলেও এই হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারেননি বলে অভিযোগ তার সন্তানদের।
মুগদা হাসপাতালে করোনাভাইরাসের পরীক্ষার জন্য দিনে নমুনা নেয়া হচ্ছে মাত্র ত্রিশ জনের। তাই দীর্ঘ অপেক্ষার পরও নমুনা দিতে না পারার হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে অনেককে।
করোনাভাইরাসের পরীক্ষার জন্য রাজধানীতে ২১টি হাসপাতালে ল্যাব প্রস্তুত করা হয়েছে। তার মধ্যে মুগদা মেডিকেলে সাত মে থেকে নমুনা পরীক্ষা বন্ধ। আইপিএইচ, নিপসমসহ ৭ প্রতিষ্ঠানে নিয়োমিত নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে না। এগুলোর তথ্যও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে সংযুক্ত হচ্ছে না।
গত ১০ মে থেকে আট দিনে সংগ্রহ করা হয়েছে ৬৮ হাজার দুইশ বত্রিশটি নমুনা। এ সময়ে ঢাকা বিভাগে নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৩৯,২১৩টি। মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য, সারা দেশে প্রতিদিন ১৫ হাজার নমুনা পরীক্ষা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা অনুযায়ী, দেশে অন্তত এক লাখ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট থাকা দরকার। কিন্তু চিকিৎসা গবেষকরা বলছেন, দেশে এই জনবল মাত্র পাঁচ হাজার ১৮৪ জন। নমুনা সংগ্রহ, ল্যাবে রক্ষণাবেক্ষণে ত্রুটির এটিও একটি কারণ। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগ বন্ধ গত এক দশক। এ কারণে অভাব দক্ষ কারিগরী জনবলের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছেকরোনাভাইরাসের চিকিৎসায় দেশে বর্তমানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক আছেন ১৬ হাজার একজন। সম্প্রতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে সাত হাজার চিকিৎসক ও নার্স। সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট
আপনার মতামত লিখুন :