ডেস্ক রিপোর্ট : [২] ঘূর্ণিঝড় আম্পান’র প্রভাবে মোংলা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হওয়ার পরও মোংলা পৌর শহর এবং শহরতলীর বিভিন্ন এলাকার আশ্রয় কেন্দ্রগুলো এখনো খোলা হয়নি। কেন্দ্রগুলো খুলে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কথা থাকলেও সেগুলোতে এখনো তালা ঝুলছে। করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে আশ্রয়দাতাদের কীভাবে রাখা হবে তা নিয়ে ফলে বেড়েছে সংশয়।
[৩] আবহাওয়া অফিসের মতে, ঘূর্ণিঝড় আম্পান বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে। মঙ্গলবার থেকে আবহাওয়া বিরূপ হয়ে উঠতে পারে।
[৪] সোমবার বিকেল পৌনে ৫টা পর্যন্ত কানাইনগর, চালনা বন্দর মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দিগন্ত প্রকল্প স্কুল, আরাজী মাকোরডোন, চালানা বন্দর ফাজিল মাদ্রাসাসহ বেশ কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে সবগুলোরই দরজায় তালা মারা।
[৫] এ দিকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হওয়ার পরও মোংলাসহ আশপাশের এলাকায় রোদ বিরাজ করায় সাধারণ মানুষের মাঝে আম্পানের তেমন ভীতি তৈরি হয়নি। আশ্রয়কেন্দ্রমুখী হওয়ার কথা ভাবছেন না তারা। সাধারণ লোকজনের অভিযোগ, আশ্রয় কেন্দ্রগুলো এখনো খোলা হয়নি, নেই সতর্ক বার্তার কোনো প্রচারও।
[৬] স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, করোনা পরিস্থিতির আগ থেকেই এসব আশ্রয়কেন্দ্র যেমন তালাবদ্ধ ছিল, এখনও তেমনই আছে। কেউ আসেনি, পরিস্কারও করেনি। আর তালাবদ্ধ অবস্থায় থাকলে আশ্রয়কেন্দ্রে কে আসবে আশ্রয় নিতে। এ নিয়ে তারা আতঙ্কে রয়েছেন।
[৭] তবে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাহাত মান্নান দবি করেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সব প্রস্তুতি ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। উপজেলার সব বহুতল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলিয়ে মোট ১০৩টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
[৮] সংশ্লিষ্টদের এসব সাইক্লোন শেল্টার ব্যবহার উপযোগী করে তোলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও বাস্তবে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। কয়েকটি সাইক্লোন শেল্টারে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, পরিস্কার তো দূরের কথা অধিকাংশ সাইক্লোনের ভবনের গেট ও দরজা জানালা বন্ধ পাওয়া গেছে।
[৯] আশ্রয়কেন্দ্রের এ দশার বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. নাহিদুজ্জামান বলেন, সবেমাত্রই তো সিগন্যাল বেড়েছে, এখন প্রচার চালান হবে। আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও দাবি তার। তবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো এখন বন্ধ থাকার বিষয়টি জানতে চাইলে
তিনি বলেন, কোন কোন এলাকারটা বন্ধ বলেন ইউএনও স্যারকে বলছি।
[১০] এ ছাড়া সোমবার মোংলা বন্দরে কয়লা ও ক্লিংকারবাহীসহ মোট ১১টি বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজের অবস্থান রয়েছে এবং সেগুলোতে স্বাভাবিকভাবে পণ্য ওঠানামার কাজ চলছে বলে জানিয়েছে বন্দরের হারবার বিভাগ।
[১১] বন্দরের হারবার মাষ্টার কমান্ডার ফখর উদ্দিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে জরুরী কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সম্ভাব্য ঝড় মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতিও গ্রহণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া অবস্থা বুঝে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
[১২] এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, পৌর কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসন পৃথক কন্ট্রোল রুম খুলেছে।দেশ রূপান্তর
আপনার মতামত লিখুন :