ববি হাজ্জাজ : সারাদেশে নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধের অংশ হিসেবে গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশে বন্ধ আছে দেশের সব বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়। তবে ইউজিসির নির্দেশনা অনুযায়ী অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে কিছু প্রতিষ্ঠানে। বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষার জগতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান অনস্বীকার্য। কিন্তু পরিতাপের বিষয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষক রাজনীতির অনুপস্থিতিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনেক ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত থেকে নীরব থাকেন।
পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি সংগঠনের বিবৃতি অনুযায়ী, চলমান পরিস্থিতিতে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মার্চ-এপ্রিল মাসের নিয়মিত বেতন পরিশোধ করতে সক্ষম হয়নি বা আংশিক পরিশোধ করেছে। এরমধ্যেই সামনে পবিত্র ঈদ? ইউজিসির বর্ণনা অনুযায়ী, অলাভজনক হিসাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পরিচালিত হলেও তাদের দাখিলকৃত বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদন প্রমাণ করে প্রায় সবগুলো প্রতিষ্ঠানের সাময়িক সংকট মোকাবেলা করার মতো আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে? অন্যদিকে এখানে অধ্যয়নরত অধিকাংশ শিক্ষার্থী সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের, যারা অনেকেই বর্তমান পরিস্থিতির শিকার হলেও তাদের টিউশন ফি মওকুফের ব্যাপারেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, সম্মানিত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা পরিশোধে গড়িমসি করা অপমানজনক।
বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ঢাকা এবং চট্টগ্রামে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ৫ কোটি টাকা এবং এর বাইরের প্রতিষ্ঠানগুলোর দেড় থেকে তিন কোটি টাকা বাধ্যতামূলক সংরক্ষিত তহবিলও রয়েছে? ঈদের আগেই সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রয়োজনে এই তহবিল ব্যবহার করে বেতন-ভাতা পরিশোধের নির্দেশনা দিতে ইউজিসির প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :