প্রিয়াংকা আচার্য্য : [২] মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিরা নাকবা দিবস উদযাপন করছেন ৭২ বছর ধরে। নাকবা মানে বিপর্যয়। ১৫ মে ছিল ফিলিস্তিনিদের জাতীয় বিপর্যয় নেমে এসেছিল মহাবিপর্যয়। এই দিনে ইউরোপ থেকে বিতাড়িত ইহুদিরা ব্রিটিশদের সহযোগিতায় ফিলিস্তিনে ইসরায়েল নামে রাষ্ট্র গঠন করে।
[৩] মুহূর্তে সাড়ে ৭ লাখ ফিলিস্তিনি পূর্বপুরুষের ভিটে-মাটি ছাড়া হয়ে যায়। জীবন বাঁচাতে অনেকে আশ্রয় নেয় পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে। শরণার্থী শিবিরে অর্ধাহারে, বেকারত্বে এবং শীতের প্রকোপে চরম মানবেতর জীবনযাপন করে। যারা পালাননি, তারা বন্দি হয়ে নিষ্পেষিত হন ইসরায়েলি সেনাদের অভিযানে।
[৩] ফিলিস্তিনিরা বিশ^াস করেন আবার ইসরায়েলকে হটিয়ে আবার তারা মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারবেন। আর সেজন্যই নাকবা দিবস পালন। এবার কোভিড-১৯ থাবায় বিভিন্ন সংগছন একজোট হয়ে অনলাইনে শিল্পীদের ফিলিস্তিনের অবস্থা তুলে ধরে চিত্রকর্মের সৃষ্টির জন্য আহ্বান করেন। শতাধিক শিল্পী এতে সাড়া দেন। হাজারো মানুষ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যোগ দেন।
[৪] নেলসেন ম্যান্ডেলার নাতি জ্যেলেভেলে ম্যান্ডেলা বলেন, পৃথিবী এখন ক্রান্তিকাল পাড় করছে। সবাইকে ঘরে বন্দী থাকতে হচ্ছে। যারা পশ্চিম তীর বা গাজায় থাকেন সেই সব ফিলিস্তিনিরা দশকের পর দশক এমনইভাবে বন্দী আছেন।
[৫] বর্তমানে প্রায় ৫০ লাখ ফিলিস্তিনি জাতিসংঘে শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধিত আছে। অধিকাংশেরই বাস জর্ডান, গাজা ভূখণ্ড, পশ্চিম তীর, সিরিয়া, লেবানন এবং পূর্ব জেরুসালেমে।
[৬] ইসরায়েলি সীমান্তের কাছে প্রতিবছর ফিলিস্তিনিরা এই নাকবা দিবসে প্রতিবাদ বিক্ষোভের আয়োজন করে। ইসরায়েলও দিনটে পালন করতে দিতে না চাইলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ দিবসকে ঘিরে এর আগে বহুবার সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। সূত্র : চ্যানেল আই, মিডল ইস্ট আই, টিআরটি ওয়ার্ল্ড
আপনার মতামত লিখুন :