কামাল হোসেন : [২] গোয়ালন্দে দুঃস্থ্য ব্যক্তিদের দুর্ভোগ কমাতে ব্যাংকিং কার্যক্রম নিয়ে যাওয়া হয় স্কুল মাঠে। সেখানে বিশাল খোলা জায়গায় সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে নিরিবিলি পরিবেশে কোন দুর্ভোগ ছাড়াই ৫৬০ জন ভাতাভোগীর হাতে তুলে দেয়া হয় তাদের প্রাপ্য টাকা।

[৩] উপজেলা প্রশাসন ও সোনালী ব্যাংকের গোয়ালন্দ শাখা সূত্রে জানা যায়, এ শাখায় প্রতিবন্ধী, বয়স্ক ও বিধবা ভাতাভোগীর সংখ্যা প্রায় ২৬শ। বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ও রোজার মধ্যে ঈদের আগেই এদের ভাতা পরিশোধ করার জন্য সরকারি আদেশ রয়েছে। ভাতা প্রদান শুরু হলে প্রচন্ড ভীড়ের কারণে গত এক সপ্তাহে সর্ব সাকুল্যে ১২শ জনকে দেয়া সম্ভব হয়। এতে করে বিঘ্নিত হয় সামাজিক দুরত্ব। এ অবস্থায় ভাতাভোগীদের দুর্ভোগ ও করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশংকা সৃষ্টি হলে বিষয়টি নানাভাবে সমালোচিত হতে থাকে।

[৪] এ পরিস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গোয়ালন্দ নাজিরউদ্দিন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ হতে ভাতা দেয়া হবে বলে ঘোষনা দেয়। সে অনুযায়ী সোমবার স্কুলের ছায়া ঘেরা সবুজ চত্বরে কোন দুর্ভোগ ছাড়াই বেলা ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত মাত্র আড়াই ঘন্টায় উপস্থিত ৫৬০ জন ভাতাভোগীকে তাদের প্রাপ্য ভাতা প্রদান করা হয়।

[৫] এ সময় গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন, সোনালী ব্যাংকের গোয়ালন্দ শাখা ব্যবস্থাপক মো. জাহিদুজ্জামান ও সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন কামরুল আলম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

[৬] এ বিষয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা মো. জাহিদুজ্জামান বলেন, এখনো পর্যন্ত প্রায় ৮শ ভাতাভোগী অবশিষ্ট আছেন। এর মধ্যে হয়তো ২ বা ৩শ জন ঈদের আগে ভাতা তুলবেন। তাদেরকে ব্যাংক থেকেই ভাতা দেয়া হবে।

[৭] সহকারী কমিশনার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঈদের আগেই দুর্ভোগ কমিয়ে দুঃস্থ্যদের হাতে তাদের প্রাপ্য ভাতা তুলে দেয়ার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেয়া হয়। এতে ভাতাভোগীরা স্বল্প সময়ে ভাতা হাতে পেয়ে খুশি হয়েছেন। এখানেই আমাদের পরিশ্রমের স্বার্থকতা। সম্পাদনা: জেরিন