নিজস্ব প্রতিবেদক : [২] বছর শেষ হতে এখনো ছয় মাস বাকি। প্রতি বছর মৌসুম শুরু হয় ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে। করোনার থাবায় বন্ধ থাকা লিগ নিয়ে তড়িঘড়ি করে বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফে। গতকাল আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও দিয়েছেন লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী। তবে ফেডারেশনের এমন সিদ্ধান্তে চিন্তায় পড়েছেন ফুটবলাররা।
[৩] জাতীয় লিগের দুয়েকটি ক্লাব ছাড়া বাকি দলগুলোর পারিশ্রমিকের পরিমাণ খুবই সীমিত। ঐ ক্লাবগুলো লিগ বাতিলের দাবিতে বেশি সোচ্চার ছিল। অনেকে বলেন ফুটবলারই ৮০-৯০ ভাগ পারিশ্রমিক অগ্রিম নিয়েছে। তা নিলেও হাতে গোনা অল্প কয়েকজন। বিশেষ করে যারা তারকা খ্যাতি পেয়েছেন এবং জাতীয় দলে খেলেন। কিন্তু লিগে খেলা ৯০ ভাগ ফুটবলারের অবস্থাই ভালো নয়।
[৪] মৌসুম পরিত্যক্ত হলো। এখন ক্লাবগুলো তাদের পাওনা নিয়ে কী করবে, সেটা ফুটবলাররা জানেন না। এ অবস্থায় অনেক ফুটবলারই পড়বেন অর্থনৈতিক ঝুঁকিতে। শুধু টাকা-পয়সা নয়, নিজেদের ফিটনেস ও ক্যারিয়ার নিয়েও শংকিত হয়ে পড়ছেন ফুটবলাররা। আগামীতে জাতীয় দলের ফুটবলারদের জন্যও এক কঠিন পরীক্ষা হবে নিজেদের ফিটনেসের প্রমাণ দেয়া।
[৫] জাতীয় দলের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা বলেন, পারফরম্যান্সের জন্য ফিটনেস ধরে রাখা জরুরি। কিন্তু আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে যে ফিটনেস প্রয়োজন তার ৬০ ভাগের বেশি ঘরে বসে ধরে রাখা সম্ভব না। ওজন ঠিক রাখা আর কিছু ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজই করা যায় বাসায়। জিম সুবিধা থাকলে হয়তো ফিটনেস ৮০ ভাগ পর্যন্ত রাখা সম্ভব হতো। কিন্তু সেটারও উপায় কই।
আপনার মতামত লিখুন :