হাসান মামুন : কাপ্তান বাজারে কোনো কোনো মাংসের দোকানে মহিষের মাংস বিক্রি হতো আলাদা করে। দাম একই বা কেজিতে বড়জোর ১০ টাকা কম। জিজ্ঞেস করলে বলা হতো মহিষের দাম তো বেশি। মনে আছে, একবার কিমা করে কিছু মহিষের মাংস এনেছিলাম টিকিয়া বানানোর জন্য। কাবাবের দোকানেও এর চাহিদা নাকি বেশি। মহিষকে গরু বলে চালানো হয় আর ভেড়াকে খাসি, এমন অভিযোগ পুরনো। দাম খুব কাছাকাছি চলে এলে এ ঘটনা কমবে অবশ্য। আর দাম ভিন্ন হলে এগুলো আলাদা করে বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে। মাঝে একটা মেগাশপে দেখেওছিলাম সে দৃশ্য। ফেসবুকে শেয়ার করেছিলাম বলেও মনে পড়ছে। ১৬ মে একটা জরুরি কাজে বেরিয়ে রাস্তার ধারে দেখি এ দৃশ্য। তাদের সঙ্গে বাতচিতের সময় বা মুড ছিলো না।
ছবিটাই শুধু তুলেছিলাম উৎসাহজনক দাম দেখে। একটু আগে গুগলে গিয়ে দেখি, সেটা একটা আমদানি-রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। তারা মহিষের মাংসও রপ্তানি করেন বোধহয়। রপ্তানি হয়তো আটকে গেছে, তাই স্থানীয়ভাবে বেচার উদ্যোগ। ১ কেজির প্যাকেট পাওয়া গেলে একটা নিতাম হয়তো। রপ্তানিযোগ্য হাড় ছাড়া মহিষের মাংস কেজিতে ৪০০ টাকা হলে তো সস্তা বলতে হবে। বাজারে কি ৬০০ টাকার কমে মানসম্মত গোমাংস মিলছে এখন? অনেক জিনিসের দাম কিন্তু কমে গেছে করোনাকালে। গোমাংসের দাম নাকি স্থিতিশীল বা ঊর্ধ্বমুখী। এর কারণ আমার জানা নেই। কোনো অনুসন্ধানী প্রতিবেদনও চোখে পড়েনি।
কোরবানি ঈদ কিন্তু বেশি দূরে নয়। এবার কেমন হবে এটা? পরিস্থিতির নাটকীয় উন্নতি না হলে গরু-ছাগলের হাট রমরমা হবে না। মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও আরও কমবে। স্বাস্থ্যবিধি মানলেও পশু কোরবানি মনে হয় সীমিত হয়ে পড়বে খুব। কোরবানির জন্য যারা গবাদিপশু তৈরি করছিলেন, তারা তো এগুলো এখন বেচে দেওয়ার কথা। গোমাংসের দাম কমে যাওয়ার কথা বরং। এর চাহিদাও তো কমেছে, তাই না? যা হোক, করোনা-উত্তরকালে দেশে গরুর সঙ্গে মহিষের উৎপাদন বাড়বে বলেই আশা করবো। রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগও বোধহয় নিতে পারবো আমরা। এর প্রভাবে দেশের বাজারে দাম যেন আবার বেড়ে না যায়। ইতোমধ্যে এর দাম কিন্তু মাছ, মুরগির তুলনায় বেশি। খাসির মাংস তো বিলাসদ্রব্য হয়ে উঠেছে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :