ডেস্ক রিপোর্ট : [২] পাকিস্তানে ‘অনার কিলিং’ বা সম্মানরক্ষার্থে হত্যার শিকার হয়েছে দুই কিশোরী। পরিবারের এক সদস্যই তাদের গুলি করে খুন করেছে। গত বৃহস্পতিবার খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ওয়াজিরিস্তানের এক সীমান্তবর্তী গ্রামে বৃহস্পতিবার বিকেলে তাদের খুন করা হয়। সম্প্রতি পরিবারের বাইরের এক তরুণের সঙ্গে তাদের এক ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার পর এ খুনের ঘটনা ঘটে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
[৩] পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুই কিশোরীর বয়স ১৬ ও ১৮ বছর। সম্প্রতি পরিবারের বাইরের এক তরুণের সঙ্গে ওই দুই কিশোরীর এক বছর আগেও একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এই ভিডিও জেরেই তাদের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে পরিবারেরই এক সদস্য। এক বছর আগের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক তরুণ নির্জন স্থানে তিন কিশোরীকে দেখা যায়। এর মধ্যে খুন হওয়া দুই কিশোরীও ছিল।
[৪] ভিডিওটি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে।
[৫] পুলিশ ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয় এক পুলিশকর্মী বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে ওই তৃতীয় কিশোরী ও তরুণকে বাঁচানো।
[৬] মানবাধিকারকর্মীরা জানান, পাকিস্তানে প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার অনার কিলিং হয়ে থাকে। সাধারণত, পরিবারের জন্য অসম্মানজক হিসেবে বিবেচিত কর্মকাণ্ডের জন্য কোনো ব্যক্তিকে পরিবারেরই সদস্যরা খুন করাকে অনার কিলিং বলা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারী ও মেয়েরাই এধরনের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে থাকে।
[৭] মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অনুসারে, এমন অনার কিলিংয়ের পেছনে অতি তুচ্ছ কারণ কাজ করে। এর মধ্যে রয়েছে, বিয়ে করতে না চাওয়া, যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া বা শিকার হয়েছে বলে অভিযুক্ত হওয়া, বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানো বা জড়িয়েছে বলে অভিযুক্ত হওয়া ইত্যাদি। এমনকি কাপড় পড়া বা অবাধ্য আচরণের জন্যও এধরনের খুন হয়ে থাকে।মানবজমিন , প্রিয়ডটকম
আপনার মতামত লিখুন :