মো. আখতারুজ্জামান : [২] করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ২৬ মার্চ থেকে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা শুরু কয়েছে। এ ছুটি কয়েক ধাপ বাড়িয়ে আগামী ৩০ মে পর্যন্ত করেছে। শুরু থেকে সীমিত আকারে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে।
[৩] তবে দিন যত যাচ্ছে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের উপস্থিতি ততো বাড়ছে। গ্রাহকের চাহিদার কথা ভেবে সীমিত আকারের ব্যাংকিং কার্যক্রম তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
[৪] বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম জানান, বর্তমানে ব্যাংককে যে পরিমাণ গ্রাহকের চাপ তাতে সবকিছু সাভাবিক রাখতে হচ্ছে। সরকার ৩০ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। আমরা আগামী ৩১ মে থেকে ব্যাংকগুলোকে তাদের পুরোপুরি কার্যক্রম পরিচালনা জন্য বলেছি।
[৫] রোববার এ বিষয়ে এক সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সার্কুলারে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং কর্মকাণ্ড গতিশীল করার মাধ্যমে অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে অন্যান্য খাতের ন্যায় ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার আবশ্যকতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
[৬] সীমিত ব্যাংকিং কার্যক্রম ধীরে ধীরে প্রত্যাহার করে স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ প্রেক্ষিতে, তফসিলী ব্যাংকগুলোকে তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রম পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
[৭] সার্কুলারে বলা হয়, বিশেষ প্রণোদনা ভাতার প্রাপ্যতা গত ১২ এপ্রিল জারিকৃত সার্কুলারের নির্দেশনা মোতাবেক সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি তারিখে হতে দুই মাস পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। অর্থাৎ ২৮ মের পর হতে বিশেষ প্রণোদনা ভাতা প্রদান না করার জন্যও বলা হয়েছে।
[৮] সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, ২৯ মে হতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন প্রতি কার্যদিবসে ব্যাংকে স্বশীরে উপস্থিত কর্মকর্তা কমর্চারীরা ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালার আওতায় যাতায়াত ব্যয় প্রাপ্য হবে।
আপনার মতামত লিখুন :