সুজন কৈরী : [২] করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে র্যাব-পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে নিরলস কাজ করছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। জনসাধারণকে থেকে করোনা থেকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রোববার পর্যন্ত বাহিনীর কর্মকর্তাসহ ২১২ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন একজন সদস্য।
[৩] বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা মোকাবেলায় দেশজুড়ে প্রত্যক্ষভাবে নিয়োজিত রয়েছেন বাহিনীর ২১ হাজার ২০৬ জন সদস্য। যারা শুরু থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাধে কাধ মিলিয়ে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন। বিমানবন্দরে প্রবাসীদের আগমন, কোয়ারেন্টাইনে থাকা সদস্যদের বাড়িতে লাল পতাকা চিহ্নিতকরণ, গ্রামে গ্রামে মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করছেন বাহিনীর সদস্যরা। করোনার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিচ্ছেন তারা। এর বাইরে আরও ৮০ হাজারের বেশি সদস্য তৃণমূলে কাজ করছেন।
[৪] রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপির সাথেও সেবা দিচ্ছেন বাহিনীর ২ হাজার ৪০০ জন সদস্য। নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালেও দায়িত্ব পালন করছেন। দেখছেন শৃঙ্খলার বিষয়টি।
[৫] রোববার বাংলাদেশ আনসার ও গ্রামপ্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-পরিচালক (যোগাযোগ) মেহেনাজ তাবাস্সুম রেবিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোবাবর দুপুর পর্যন্ত নতুন করে বাহিনীর আরও ২৬ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মোট ২১২ জন সদস্য ও কর্মচারী করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ১৮২ জন এবং ঢাকার বাইরে ২৬ জন রয়েছেন। শনাক্তদের মধ্যে বাহিনীর উপ-মহাপরিচালক একজন, ব্যাটালিয়ন আনসার ৮৭ জন, অঙ্গীভ‚ত আনসার ১১৯ জন, একজন নারী আনসার, একজন নার্সিং সহকারী, একজন সিগন্যাল অপারেটর ও একজন ভিডিপি সদস্য রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭৩ জন ব্যাটালিয়ন আনসার জাতীয় সংসদ ভবনে এবং ৮৩ জন অঙ্গীভূত আনসার সদস্য ঢাকা মহানগর পুলিশের সঙ্গে কর্মরত রয়েছে। এছাড়া বাকীদের কেউ সদর দপ্তর এবং কেউ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত রয়েছেন।
[৬] বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনাক্তদের মধ্যে নিজ বাসায় কোয়ারেন্টাইনে একজন, প্রাতিষ্ঠানিক ও বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে ৪৫৭জন রয়েছেন। ঢামেক হাসপাতাল, কুর্মিটোলা, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, সাজেদা মেডিকেল ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বাহিনীর ১৫৯ জন সদস্য করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। করোনায় এ পর্যন্ত বাহিনীর একজন সদস্য মারা গেছেন।
[৭] আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল কাজীশরীফ কায়কোবাদের গৃহীত নানা উদ্যোগের ফলে করোনা শনাক্ত সদস্যরা সুস্থ হয়ে উঠছেন। রোববার দুপুর পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৯ জন সদস্য।
আপনার মতামত লিখুন :