মো. আখতারুজ্জামান : [২] প্রতিনিয়ত আশার আলো দেখাচ্ছে পাট ও পাটজাত পণ্য। উন্নতির সূচক দেখে মনে হচ্ছে আবার যেন নতুন রুপ পাচ্ছে সোনালী আশখ্যাত বাংলাদেশের পাট।
[৩] চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে ৭৯ কোটি ১৩ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেশি। সেই সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ শতাংশ বেশি।
[৪] করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিকালীন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তরসমূহের পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া সভাপতিত্ব করেন।
[৫] রোববার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুল কালাম আজদ, আবু বকরসহ এ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
[৬] সভায় জানানো হয়, সরকার মানসম্মত পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি ও পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে পাট অধিদপ্তরের আওতায় ‘উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি জুলাই, ২০১৮ হতে মার্চ ২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটি দেশের ৪৬টি জেলার ২৩০টি উপজেলায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
[৭] প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পাটচাষের উন্নত কলাকৌশল সম্পর্কে চাষীদের প্রশিক্ষিত করা। সেই সঙ্গে সর্বিকভাবে গুণগত মানসম্মত পাট ও পাটবীজ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের ৩৯০ টন পাট বীজ বিনামূল্যে বিতরণসহ সবধরণের সহায়তা অব্যহত রয়েছে।
[৮] গত ২৬ এপ্রিল ২০২০ তারিখ থেকে এ পর্য্ন্ত বিজেএমসি’র মিলগুলোতে ১৫৭৪ মেট্রিক টন পাট পণ্য উৎপাদিত হয়েছে যার মূল্য প্রায় ২৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। গত ২৬ মার্চের পর থেকে এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে ৯ হাজার ৯৫২ টন পাট পণ্যের বিক্রয় আদেশ জারি করা হয়েছে। যার মূল্য ৭৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা। স্থানীয় বাজারে ৯ হাজার ১৪৮ টন যার মূল্য ১১৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ সর্বমোট ১৯০ কোটি টাকার পাট পণ্যের বিক্রয় আদেশ জারি করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :