চৌধুরী হারুনুর রশীদ, রাঙামাটি প্রতিনিধি: [২] রাঙামাটির বিলাইছড়ির বৌদ্ধ বিহার আগুনে পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় পাহাড়ে আঞ্চলিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দোষারুপ করলেও পক্ষান্তরে জেএসএস লিখিত প্রতিবাদ জানিয়েছে।
[৩] পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিসহ তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সজীব চাকমা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, পার্বত্য জেলাধীন বিলাইছডি় উপজেলার বিলাইছডি় সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়াডের্র অন্তর্গত ধুপশীল গ্রামে অবস্থিত ড. এফ দীপংকর মহাথেরোর ‘ধুপশীল আন্তর্জাতিক বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র’ নামে বৌদ্ধ বিহারটি কে বা কারা অগ্নিসংযোগ করে পুডি়যে় দেয়ার ঘটনার সাথে জনসংহতি সমিতিকে জডি়ত করার অপচেষ্টায় জনসংহতি সমিতি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
[৪] পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি উক্ত অগ্নিসংযোগের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা এবং জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে বিহারটি অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জডি়তকরণের সকল প্রকার অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছে।
[৫] প্রত্যক্ষদশীর্ ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, বিলাইছড়ি উপজেলাধীন সদর ইউপির ৭ নং ওয়াডের্র ধুপশীল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিহারটির নাম ধূপশীল আন্তর্জাতিক বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্র। ড. দীপংকর বৌদ্ধ ভিক্ষু ২০১৪ সালের দিকে এটি প্রতিষ্ঠা করেন।
[৬] বিলাইছড়ি ইউপির ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়াডের্র মহিলা সদস্য মুঠোফোনে জানান, বৌদ্ধ বিহারে সুখেন্দ তঞ্চঙ্গ্যা নামে একজন স্থানীয় সেবক অবস্থান করছিলেন। রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টার সময় ১০/১৫ জনের একটি দল এসে তাকে ডেকে তুলে। তিনি দরজা খুলে দিলে দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে বিহারের বাইরে বের করে দেয় এবং বিহারে আগুন লাগিয়ে দেয়।
[৭] বিলাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনা কারা ঘটিয়েছে তা এখনো আমরা জানিনা। ঘটনাস্থলে একটি পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি। পুলিশের দেয়া তথ্যনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :