আপেল মাহমুদ : [২] মরণঘাতী করোনাভাইরাসের কবলে দেড় মাসের অধিক সময় ধরে ঘরবন্দি হয়ে আছে মানুষ। করোনা প্রতিরোধে অফিস-আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, কারখানা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এর প্রভাব পড়েছে প্রাণীকূলের ওপরও। কষ্টে আছে রাস্তার ছিন্নমূল কুকুরগুলো।
[৩] দোকান, হোটেল ও রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকায় খাবার জুটছে না পথের কুকুরগুলোর। তাই এসব কুকুরের মুখে খাবার দিতে এগিয়ে এসেছেন রংপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য রাহগির আলমাহি এরশাদ।
[৪] চলমান করোনা পরিস্থিতিতে প্রতিদিন রংপুর নগরীর ভাসমান এই প্রাণীদের একবেলা খাবার দিচ্ছেন এই সাংসদ। দুই সপ্তাহ ধরে রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে পাউরুটি, খিচুড়ি, মুরগির মাংসসহ বিভিন্ন খাবার খাওয়াচ্ছেন তিনি ও তার স্ত্রী।
[৫] নগরীর শাপলা চত্বর সংলগ্ন এলাকার শফিক নামে এক ব্যক্তি জানান, মাঝে মাঝে রাত ১০-১১টার দিকে হাঁটতে বেরিয়ে তিনিও দেখেছেন নিজ হাতে সাদ এরশাদ কুকুরগুলোকে খাবার খাওয়াচ্ছেন। কুকুরগুলো এমপির এতটাই ভক্ত হয়েছে যে তিনি আসা মাত্রই সবগুলো কুকুর তার চারপাশ ঘিরে থাকে।
[৬] খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাদ এরশাদ। ওই সভায় নগরীর ৪৭টি পয়েন্টে প্রায় তিন শতাধিক ভাসমান কুকুরের অবস্থান এবং তাদের খাওয়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখান থেকে তথ্য নিয়ে এসব কুকুরকে খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
[৭] এ বিষয়ে সাংসদ সাদ এরশাদ বলেন, এমনিতেই পশুপাখি আমাকে খুবই টানে। ঢাকা কিংবা রংপুর যেখানেই থাকি না কেন, এদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভীষণ ভালো লাগে। করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের অনেকেই কর্মহীন হয়ে বাড়িতে বসে আছেন।
[৮] দোকানপাট বন্ধ। এই অবস্থায় রাস্তায় ঘুরে বেড়ানো নগরীর অসংখ্য কুকুরের খাবারের সংকট দেখা দিয়েছে। এসব কুকুরকে ঠিকমতো খাবার না দিলে অনেক সময় মানুষের হাত থেকে খাবার নিতে আক্রমণ করে। তাই এই দুর্যোগময় মুহূর্তে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই তাদের খাওয়ানোর চেষ্টা করছি।
আপনার মতামত লিখুন :