মাসুদ আলম : [২]করোনা পরিস্থিতির কারণে স্থবির হয়ে গেছে নৌযান চলাচল। এতে বন্ধ রয়েছে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন। ফলে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মহীন শ্রমিক ও কর্মচারীরা। এই দুর্দিনে মালিকপক্ষ কিংবা শ্রমিক সংগঠন তাদের পাশে দাঁড়ায়নি। বেশিরভাগই পাননি সরকারি সহায়তাও।
[৩] চাঁদপুর থেকে রাজধানী ঢাকায় যাতায়াতের সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় বাহন লঞ্চ। আভ্যন্তরীণ ও আন্তঃজেলা রুটে লাখো মানুষের ভরসা নৌযান। কিন্তু করোনায় থমকে গেছে সব।
[৪] এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এই পথের কুলি, শ্রমিকসহ হাজারো মানুষ। পরিবার নিয়ে দিন কাটছে অনাহার-অর্ধাহারে। সহযোগিতায় এখনও এগিয়ে আসেনি কেউ। পৌঁছেনি সরকারি সহায়তাও। এভাবে চললে তাদের না খেয়ে মরতে হবে।
[৫] শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের দাবি, বিভিন্ন সময় আদায় করা চাঁদা, নানা কর্মসূচিতে খরচ হয়ে যাওয়ায়, শ্রমিকদের সহায়তায় তহবিলে কোনো টাকা নেই।
[৬] একই চিত্র পটুয়াখালীতেও। করোনা সংক্রমণে প্রায় দুই মাস লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় নৌযান সংশ্লিষ্ট শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। হাজারও শ্রমিক কর্মচারীরা হয়ে পড়েছেন কর্মহীন। ইজারা উঠাতে না পারায় দরপত্রের টাকা মওকুফের দাবি ইজারাদারের। ঢাকা-পটুয়াখালীসহ আভ্যন্তরীণ ১৮ রুটে প্রতিদিন প্রায় ৪৯ টি ছোট বড় লঞ্চে চলাচল করতো ১৫ লাখ মানুষ।
আপনার মতামত লিখুন :