ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] ঢাকায় প্রবেশ বাহিরে পুলিশের কঠোর অবস্থানের পরও অকারণেই ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছে মানুষ। রোববার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অন্যদিনের তুলনায় প্রচুর পরিমানে যানবাহন চলতে দেখা গেছে। তবে গণপরিবহন চলছেনা।
[৩] এদিকে গত কয়েকদিন থেকে ঢাকার বাইরে থেকে আসা মাইক্রোবাসে অসংখ্য লোককে ঢাকায় ঢুকতে দেখা গেছে। শনিবার রাত ৮টার দিকে ফার্মগেটে ছিল বাসস্টান্ডের মত মাইক্রেবাসের ভীড়। প্রতিটি বাসেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা যুবকদের নামতে দেখা যায়।
[৪] মামুন নামের এক যাত্রী বলেন, তিনি যশোর থেকে এসছেন ৬শ’ টাকা ভাড়ায়। কেনো পরিবহন না থাকায় মাইক্রেবাসই ছিল ভরসা। গাড়িতে সামাজিক দুরত্ব মানার বিষয়ে তিনি বলেন, তারা ৮জন এসেছেন। সকলেই ঠাসাঠাসি করেই উঠেছেন গাড়িতে। শুধু তিনিই নন এমন অনেক যাত্রীই এসেছেন তাদের চাকরি বাঁচাতে। বেসরকতারি প্রতিষ্ঠানে না গেলে মাসের বেতন পাবেননা। তাই যেভাবেই হোক তাদের আসতে হবে বলেন তারা।
[৫] দুরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় বিভিন্ন উপায়ে দক্ষিনাঞ্চলের মানুষ মাওয়া ও ঘাট পর্যন্ত আসছে মানুষ। এরপর সামাজিক দূরত্বের তোয়াক্কা না করেই গাদাগাদি করে চড়ছে ফেরিতে। ব্যক্তিগত গাড়ির চাপতো রয়েছেই। একইভাবে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও আরিচা ঘাট এবং রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে গত কয়েকদিনের তুলনায় বেড়েছে মানুষের চাপ।
[৬] বি আইডব্লিউটিএ-এর তথ্যমতে, মাওয়া কাঠালবাড়ি রুটে ১৭টি ফেরির মধ্যে ১২ থেকে ১৪টি এখন চলাচল করছে। এক সপ্তাহ আগে মাত্র ৬টি ফেরি চালু ছিল। এখন চলাচল বেড়ে যাওয়ায় ফেরির জন্য কখনও কখনও দীর্ঘ জট লেগে যাচ্ছে। যে জটে ফেরিপাড়ে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা। আর ফেরিতে উঠতে নামতেও প্রতিযোগিতা।
[৭] অপরদিকে বাস না থাকায় পণ্য পরিবহনের গাড়িতে মানুষের চলাচল দেখা গেছে। বেশিরভাগ নিম্নবিত্তের মানুষ পণপরিবহনের গাড়িতে উঠছেন। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রণালয় গণপরিবহন বন্ধের নোটিশে-পণ্য পরিবহনের গাড়িতে মানুষের যাতায়াত করা যাবে না বলে জানিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :