রাজু আলাউদ্দিন : [২] চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকায় মারাত্মক চিকিৎসা সংকট দেখা দিয়েছে। মাত্র দু'টি হাসপাতালে ১৩০টি শয্যা করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত হলেও রোগী সংখ্যা এখনই কয়েকগুণ বেশি। হাসপাতালগুলোতে নতুন করে রোগী ভর্তিও অনেকটা বন্ধের পথে। এ অবস্থায় সংক্রমণ আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা চিকিৎসকদের।
[৩] সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে চট্টগ্রামের তিনটি কেন্দ্রে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২ হাজার ৬শ ৫ জনের। আর এর মাঝে পজেটিভ রোগী ৮শ ৬০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৪শ ৯৯ জন আশপাশের জেলা এবং উপজেলার হলেও নগরীতে রোগী রয়েছেন ৩৬১ জন। তার বিপরীতে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত হাসপাতাল মাত্র দু'টি।
[৪] স্বাচিপ ডা. আ ন ম মিনহাজুর রহমান বলেন, প্রতিদিন প্রায় ১০০ করে রোগী বাড়ছে। কিন্তু একটি শয্যা বাড়ছে না। তাহলে আমরা যাব কোথায়? বর্তমানে চট্টগ্রামের বিআইটিআইডি, সিভাসু এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ৩টি পয়েন্টে করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষা হচ্ছে। হলি ক্রিসেন্ট নামে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে করোনা রোগীদের রাখার কথা বলা হলেও সেটি এখন আটকে আছে।
[৫] ৭০ লাখ রোগীর জন্য এই শহরে করোনা রোগীদের জন্য হাসপাতাল মাত্র দুটি। তাও আবার ১৩০ শয্যার। জেনারেল হাসপাতালে ২০ শয্যার আইসিইউ সুবিধা থাকলেও সে রকম কোনো ব্যবস্থা নেই ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি হাসপাতালে। প্রয়োজনের তুলনায় হাসপাতাল দু'টিতে শয্যা সংখ্যাও কম। সে সাথে প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতেও করোনা উপসর্গের ভর্তি করানো হচ্ছে না। এ অবস্থায় রোগীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
[৬] জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কমিটি সাধারণ সম্পাদক ডা. সুশাস্ত বড়ুয়া বলেন, যেকোনো একটি হাসপাতালকে বেছে নেয়া যেটার একটি পোর্শনকে আলাদা করে করোনা রোগীদের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। রোগীর বিপরীতে শয্যা সংখ্যা কম তা স্বীকার করে সিভিল সার্জন জানালেন, আরো কয়েকটি হাসপাতাল প্রস্তুতের চেষ্টা চলছে।
[৭] সিভিল সার্জন ডা. শেখ ফজলে রাব্বি বলেন, চট্টগ্রাম মেডিকেলের কোভিড ইউনিট দুই-একদিনের মধ্যেই চালু হতে পারে। গত ৩ এপ্রিল চট্টগ্রামে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। আক্রান্ত ৮৬০ জনের মধ্যে মারা গেছেন ৩০ জন এবং সুস্থ হয়ে ৯৫ জন বাসায় ফিরে গেছেন। সকাল ১১ টার সময় সংবাদ।