নওগাঁ প্রতিনিধি : [২] জেলার বদলগাছীতে যাদের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তাদের মধ্যে ১জন সুস্থ এবং নতুন করে ৪জন আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন আক্রান্তের মধ্যে এলাকা থেকে পালিয়েছেন বদলগাছী সদর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের মৃত আঃ মজিদের ছেলে পুলিশ সদস্য আখতারুজ্জামান (জামাল)।
[৩] এলাকাবাসী জানান, জামাল ঢাকার রাজারবাগ পুলিশে চাকরি করেন। কয়েকদিন আগে তিনি ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে ধান কাটা মাড়াইয়ের জন্য। তার শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠায়। তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসলে ১৫ মে রাতে তিনি এলাকা থেকে পালিয়ে যান। তিনি কোথায় কি অবস্থায় আছেন কেউ সঠিক বলতে পারছেন না।
[৪] বদলগাছী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কানিস ফারহানার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে তিনি বলেন, পরীক্ষায় নতুন করে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৪ জনের শরীরে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯ জনে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ২জন পুলিশ সদস্য রয়েছে। এছাড়া মোট আক্রান্তদের ৯ জনের মধ্যে ১ জন সুস্থ হয়েছেন।
[৫] নতুন আক্রান্তরা হলেন, বদলগাছী সদর ইউনিয়নের শেরপুর গ্রামের মৃত আঃ মজিদের ছেলে পুলিশ সদস্য আখতারুজ্জামান (জামাল), বিলাশবাড়ি ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের মোতালেবের ছেলে পুলিশ সদস্য মনজুর হোসেন (২৪), আধাইপুর ইউনিয়নের কার্র্তিকাহার গ্রামের মৃত সোনাতুল্লাহর ছেলে করোনা থেকে রেহায় পাওয়া হাতিম আলীর স্ত্রী হালিমা বেগম (৫২) এবং মথুরাপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের সজীবের শিশু কণ্যা ফারহানা আক্তার (৩)। তারা বর্তমানে সুস্থ আছেন বলে জানান তিনি।
[৬] আক্রান্ত ৯জনের মধ্যে আধাইপুর ইউনিয়নের মৃত সোনাতুল্ল্যাহর ছেলে হাতেম আলীর (৬২) রিপোর্ট টেস্ট রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। অর্থাৎ তিনি এখন করোনা ভাইরাস মুক্ত। স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সুস্থতার সনদপত্র ও পুষ্টিকর খাবার পৌঁছে দিতে হাতেম আলীর বাড়িতে যাবেন বলে জানান তিনি। করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকলে পুনরায় করোনায় আক্রান্ত হবে কিনা জানতে চাইলে বর্তমানে আক্রান্ত হওয়ার সুযোগ নেই।
[৭] পুলিশ সদস্য আখতারুজ্জামান সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাকে আমরা কমপক্ষে ১৪ দিন বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তিনি স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করে ঢাকাতে চলে গিয়েছেন বলে জানান তিনি।
[৮] এবিষয়ে বদলগাছী থানার ওসি চৌধুরী জোবায়ের আহাম্মদ বলেন, আমরা তাকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলাম। তিনি কাউকে কিছু না জানিয়ে তার কর্মস্থল ঢাকা রাজারবাগ চলে গিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তার অবস্থান জানতে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :