শিরোনাম
◈ অবশেষে মার্কিন সিনেটে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ পাস ◈ কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ ◈ ইউক্রেনকে এবার ব্রিটেননের ৬১৭ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ◈ থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে ৩৩ জনের মৃত্যু ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ এফডিসিতে মারামারির ঘটনায় ডিপজল-মিশার দুঃখ প্রকাশ ◈ প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ◈ প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাত চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন নির্বাচিত ◈ বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ১৭ মে, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ১৭ মে, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করোনায় শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য

ডা. ইকবাল আনোয়ার : বড়রাই যেখানে ঘরে থেকে বিরক্ত। অপেক্ষায় আছেন কখন ভাঙবে লকডাউন। শিশুদের অবস্থা এ থেকে সহজেই অনুমেয়। শিশুর মন এমনিতেই ঘরে থাকতে চায় না। শিশুদের মনে গৃহবন্দি জীবনে যে সব প্রভাব পড়তে পারে : ১. ভয়, বিরক্তি, রাগ, হতাশা, অস্থিরতা। ২. এ সব কারণে অপজিট অবস্থা মনে আনতে তার চঞ্চলতা বেড়ে যেতে পারে। সে হয়ে পড়তে পারে নাছোড়বন্দা। ৩. আবার উল্টোটা, যেমন অবসাদগ্রস্তও হতে পারে সে।\

 

করণীয় : ১. অনেকদিন পর শিশু মা-বাবাকে একত্রে পেয়েছে। একটানা সময় ধরে। বিশেষ করে যাদের মা-বাবা চাকরি করেন। এটাকে কাজে লাগানো যায়। যেমন : ২. ভালোমন্দ রেঁধে দেওয়া যায় তাকে। কিন্তু অবশ্যই বাইরের খাবার নয়। ৩. তাকে বাসায় পড়ানো যায়। তবে জোর করে নয়। আগ্রহ সৃষ্টির মাধ্যমে। ৪. তাকে সৃজনশীল কাজে উৎসাহ দেওয়া যায়, যেমন ছবি আঁকা, কবিতা ছড়া পড়া, আবৃত্তি করা শেখানো ও নিজ থেকে ছড়া কবিতা গদ্য লিখতে পড়া শেখানো। নাচ, গান ইত্যাদিও হতে পারে। ৫. ঘরে যে সব খেলা করা যায়, তা করা। ৬. ঘরবন্দি অবস্থায় তার শরীরের ব্যায়াম প্রয়োজন। তাকে ছাদে নিয়ে যাওয়া যায়। তাকে ঘরে রোদে কিছুক্ষণ থাকতে দেওয়া যায়।

 

৭. করোনাভাইরাসটা কী, কীভাবে ছড়ায় তা ভয় পাওয়ার মতো করে নয়, বরং এটা সমস্যা সেরে যাবে, এভাবে বুঝানো যায়। ৮. তাকে তো অবশ্যই স্কুলে অচিরেই যেতে হবে। তখন কী করবে কী করবে না, এ সব জানানো যায়। ৯. সঠিকভাবে মাস্ক পরা ও হাত ধোয়া শেখানো যায়। ১০. এ সময় শিশুর মন ভঙ্গুর থাকে। তাই তাকে কোনোমতেই বকাঝকা করা ঠিক হবে না। ১১. ঘরটাকে আনন্দময় রাখতে হবে। ১২. ঘরে কোনোমতেই ঝগড়াঝাঁটি করা যাবে না। ১৩। যাদের বাবা-মা ডাক্তার বা স্বাস্থ্যসেবা কর্মী, তাদের সন্তানের অবস্থা হবে আরও নাজুক। কেন তার কাছে আসা যাচ্ছে না, এ সব বুঝিয়ে বলতে হবে। ১৪. তাকে নতুন/ধোয়া পোশাক পরিয়ে, গোসল করিয়ে, নতুন নতুন পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে উৎফুল্ল রাখা যায়। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়