আনিস আলমগীর : করোনা মহামারিটি এখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি। আমেরিকা ভিয়েতনাম যুদ্ধের শুরু থেকেই তার সব সামরিক সংঘাতে যতো লোক হারিয়েছে, কোভিড-১৯-এ হারিয়েছে তার চেয়ে বেশি লোককে। সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী আমেরিকায় মৃতের সংখ্যা ৮৪ হাজারের বেশি আর আক্রান্ত ১৪ লাখ ৩০ হাজার। করোনার প্রকোপে বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার মানুষের জীবন যাবে এবং বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন সংকট নাকি সবে শুরু হয়েছে।
মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মহামারি থেকে বেরিয়ে আসার পথটি যেমন অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে তেমনি অর্থনৈতিক বিপর্যয় বিশাল আকার ধারণ করছে। তাই মহামারিকে পরাস্ত করতে বিশ্বব্যাপী একটি সম্মিলিত সফল প্রচেষ্টার জন্য আমেরিকার শক্তিশালী ভূমিকা প্রয়োজন। অবশ্য পরিবর্তে, ট্রাম্প সংকট মোকাবেলা আরও কঠিন করে তুলছেন। ট্রাম্প মনে হয় এটা বুঝতে চাচ্ছেন না, করোনা মোকাবেলায় কার্যকর পদক্ষেপ হচ্ছে কোনো একটি দেশ থেকে করোনা নির্মূল করা নয়, বিশ্বের সর্বত্র এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা।
সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত ভ্যাকসিন না থাকলে ভাইরাসটি দেশ-বিদেশে চক্র চালিয়ে যেতে থাকবে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি যতোটা খারাপ হবে, অন্য দেশগুলোতে এর চেয়েও খারাপ প্রতিক্রিয়া পড়বে।
সাধারণত আমেরিকা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে মহামারি মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য এগিয়ে আসে, কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসন এর প্রয়োজনীয়তাই বোধ করছে না। অতীতে সংকটকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং উন্নত দেশগুলো একত্র হয়ে সমাধানের উপায় খুঁজতো, এবার ট্রাম্প প্রশাসন জি-২০কে পদক্ষেপ নিতে বাধা দিয়েছে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :