মিমি হোসেন : আপনারা আতঙ্কিত হোন, এছাড়া বাঁচার আর কোনো পথ নেই। আসুন আতঙ্কিত হই, ভয় পাই, সব কাজ বন্ধ করে দিয়ে শুধু পানি খেয়ে কিছুদিন বাঁচার চেষ্টা করি। বিশ্বাস করেন, এই আমি, আপনি, আমরা, আপনারা, আমাদের প্রত্যেকে যার যার জায়গা থেকে ভেবে নিয়েছি যে আমাদের করোনা হবে না। কোভিড আমাদের ছুঁতে পারবে না, কারণ আমরা ভুল বিশ্বাসে লালিত হচ্ছি এখনো। আপনি ভাবছেন, আপনি কলাবাগান আছেন, আক্রান্ত হচ্ছে যাত্রাবাড়ীর জনৈক ভদ্রলোক, দিন ফুরোলেই শুনবেন আপনার পাশের বাড়ির কেউ পজিটিভ, রাত ফুরোলেই শুনবেন আপনার বাড়ির কেউ আক্রান্ত আর নিজের কান-চোখকে বিস্মিত করে দিয়ে হুট করেই একসময় জানতে পারবেন আপনি নিজে আক্রান্ত। হু হু করে মৃত্যুর খবরগুলো পানির মতো চলে আসছে, কী সহজভাবে।
কে ভাবতে পেরেছিলো এমন কিছু হতে পারে জীবনে। কেউ না, এখনো আমরা অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে আছি যে, অমুকের হলে হতে পারে, কিন্তু আমার হবে না কিছু, এই বিশ্বাস আমাদের পথে নামাচ্ছে, শপিংমলে কাপড়, জুতা কেনাচ্ছে, প্রয়োজন ছাড়াও এদিক-ওদিক ঘুরতে সাহস যোগাচ্ছে। দুঃসাহস।
আমরা একটা ধাবমান অপশক্তির মুখোমুখি আছি, বিশ্বাস করেন। নিজের কলিজার অংশ যখন খুবলে নেবে তখন বুঝতে পারবেন।
হয়তো আপনি বেঁচে যাবেন, কিন্তু হারাবেন প্রিয় মানুষটিকে। সময় আমাদের হাত ফস্কে বেরিয়ে গেছে, এখন শুধু অপেক্ষা দুঃসংবাদের। জানি না খবরটি কে কাকে দেবে। আপনি আমাকে নাকি আমি আপনাকে।
বি.দ্র. প্রফেসর ডা. মোকাররম স্যারের পর তার ১৭ বছর বয়সী মেয়েটি দুদিনের ব্যবধানে চলে গেলো। প্রিয় মানুষ, আতঙ্কিত হোন দয়া করে, ভয়কে সবসময় জয় করতে চাওয়া ভুল, ভয় পান, বেঁচে থাকুন। আল্লাহ সবাইকে হেফাজত করুন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :