শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৭ মে, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ১৭ মে, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করোনা প্রতিরোধে যারা নানা রকম চেষ্টা করছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও সম্মান

মির্জা ইয়াহিয়া : পৃথিবীজুড়ে করোনাভাইরাস হতাশা নিয়ে এসেছে। স্থবির হয়ে পড়েছে সব কিছু। সবাই আশায় আছে এই ভাইরাসের ভ্যাকসিন বের হবে। সুস্থ করার সরাসরি কোনো ওষুধ বের হবে। অন্যদের মতো আমিও এ ধরনের খবর আগ্রহ নিয়ে লক্ষ্য করছি। উন্নত বিশ্বে এগুলো নিয়ে অনেক কাজ চলছে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকলেও বাংলাদেশেও কিন্তু কিছু কাজ হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ডাক্তার, বিজ্ঞানীরা নানাভাবে চেষ্টা করছেন। যার শুরুটা ছিলো গণস্বাস্থ্যের উদ্যোগে অনুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন শীলের র‌্যাপিড টেস্টিং কিট উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে। এটার ব্যবহার হলো কী হলো না, এটা আলাদা ব্যাপার।

 

উদ্ভাবন যে হয়েছে এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় আমাদের ডাক্তাররাও নানাভাবে চেষ্টা করছেন। ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন প্রয়োগে ভালো ফল পাচ্ছেন চট্টগ্রামের চিকিৎসকেরা। এই কারণেই নাকি বন্দরনগরীতে মৃত্যুহার তুলনামূলক কম। অন্যদিকে করোনা প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কার্যকর ওষুধ রেমডেসিভির। খোদ আমেরিকায় এর সংকট তৈরি হয়েছে। এ ওষুধ খুব দ্রুত বাজারে আনতে কাজ করছে আমাদের দেশের কয়েকটি ওষুধ কোম্পানি।
ওষুধ উৎপাদনে যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, এটা কিন্তু তার প্রমাণ। করোনাভাইরাসের জিন রহস্য উন্মোচনেও কাজ করছে আমাদের দেশের রিসার্চ প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে সফল হয়েছে চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন।

 

জিনোম সিকোয়েন্স বের করার মাধ্যমে বাংলাদেশে ভাইরাসটির গতি-প্রকৃতি নির্ণয় করা সম্ভব হবে। এতে ভাইরাস নির্মূলের পথ পাওয়া যাবে। করোনার চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপির কার্যকারিতা পরীক্ষা করছে ঢাকা মেডিকেল। করোনাজয়ীদের রক্তের প্লাজমা অসুস্থদের দেওয়ার এ চিকিৎসা প্রক্রিয়া আগেই শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ নানা দেশ। এটাকেও আমি আমাদের চিকিৎসা সংশ্লিষ্টদের মহৎ এক প্রচেষ্টা বলবো।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হবে ভ্যাকসিন। এমন ভ্যাকসিন আসবে, পৃথিবীর সবাই আছে তার অপেক্ষায়। উন্নত বিশ্বে পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছে।

 

তার ফলাফল পেতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। অবাক করার ব্যাপার হলো ভ্যাকসিন বিষয়ে বাংলাদেশও কাজ করছে। এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করতে প্রস্তুতি নিয়েছে আমাদের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও আইইডিসিআর। ভ্যাকসিন বাজারে এলেই যাতে আমাদের দেশে এটা চলে আসে সেই ব্যবস্থা করছে তারা। সাধারণ একজন মানুষ হিসেবে চিকিৎসাক্ষেত্র নিয়ে আমি কোনো বিশেষজ্ঞ মত দিতে পারবো না। দেওয়া ঠিকও মনে করি না। কিন্তু মিডিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্য দেখে বুঝি, করোনা প্রতিরোধে নানা রকম চেষ্টা আছে আমাদের দেশেও। সেই চেষ্টার সুফল সবার কাছে কীভাবে যাবে, সেটা অন্য আলোচনা। কিন্তু যারা চেষ্টা করছে, তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে আমার কোনো আপত্তি নেই। সবার মঙ্গল ও সুস্থতা কামনা করছি। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়