প্রিয়াংকা আচার্য্য : [২] দেশের এক কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দুগ্ধ খাতের সঙ্গে জড়িত। করোনার দুর্যোগে রেহাই পাচ্ছে না গো খামীরাও। মিষ্টির দোকান খুলেনি তাই কমে গেছে দুধ বিক্রি। লক ডাউনের ফলে সাধারণ মানুষের কাছে সরাসরিও বিক্রি করা যাচ্ছে না দুধ। এর মধ্যে বেড়েছে গো-খাদ্যের দাম।
[৩] মনসুর ডেইরি ফার্মের কর্ণধার মো. ইউসুফের মোহাম্মদপুরের এ খামারে গরু আছে ৪০টি। এখান থেকে প্রতিদিন দুধ আসে ৫ মণ। আগে প্রতিকেজি বিক্রি হতো ৭০ থেকে ৮০ টাকা এখন সেটা নেমে এসেছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। এর মধ্যে টানতে হচ্ছে ব্যাংকের কিস্তির টাকা।
[৪] ইউসুফ জানান, ২৫ মার্চের পর থেকে পানির দামে দুধ বিক্রি হচ্ছে। তাও ক্রেতা না পাওয়ায় প্রচুর দুধ ফেলে দিতে হচ্ছে। একজন কর্মচারীর বেতন ১৬ থেকে ১৮ হাজার টাকা। দুধ বিক্রি না হলেও তাকে বেতন দিতে হচ্ছে।
[৫] বাবা ডেইরি ফার্মের ম্যানেজার দিলীপ ঘোষ জানান, রমজান মাসে ক্রেতারা এসে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকতো। সবাইকে দেয়ার আগেই দুধ বিক্রি শেষ হয়ে যেত। এখন দুধ নিয়ে বসে আছি ক্রেতা নেই।
[৬] বাংলাদেশ ডেইলি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া তথ্য মতে, দেশে বছরে ৯৯০ কোটি লিটার দুধ উৎপাদন হয়। অর্থ্যাৎ দিনে ৩ থেকে সাড়ে ৩ কোটি দুধ উৎপাদিত হয়। বর্তমানে ডেইরি ফার্মের ৫০ শতাংশ দুধই বিক্রি হচ্ছে না।
[৭] তবে দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকরণ কোম্পারিগুলো প্রতিদিরি ১২ থেকে ১৫ লাখ লিটার দুধ তাদের তালিকাভ‚ক্ত খামার থেকে সংগ্রহ করে।
[৮] প্রাণ প্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম মৃধা জানান, আমরা প্রতিদিন দুই লাখ লিটার দুধ সংগ্রহ করি। ইতিমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছি আমাদের মিল্ক প্রসেসিং বাড়ানোর জন্য। এতে আমরা আরও বেশি পরিমানে দুধ খামারিদের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারবো। সূত্র : একাত্তর টিভি
আপনার মতামত লিখুন :