লাইজুল ইসলাম :[২] প্লাজমা ডোনার পাওয়া বড় চ্যালেঞ্জ : ঢামেক কর্তৃপক্ষ [৩] শনিবার (১৬ মে) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, সকাল থেকে আমরা প্লাজমা সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছি। করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হওয়া তিনজন রোগির থেকে প্লাজমা সংগ্রহ করেছি। আমরা আরো সংগ্রহ করবো।
[৪] নাসির উদ্দিন আরো বলেন, এই কাজে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে। না হয় এই কার্যক্রম চালানো যাবে।
[৫] প্রক্রিয়াটি নিয়ে দেশে গত এপ্রিলে একটি কমিটি গঠিত হয়। আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রায় এক মাস পরে গত বৃহস্পতিবার মেলে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের নীতিগত অনুমোদন। করোনা ভাইরাস ঠেকাতে এই প্লাজমা দিয়েই আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা চলছে বিশ্বের অনেক দেশে।
[৬] এই কার্যক্রমের জন্য গঠিত কমিটির সমন্বয়ক ডা. এম এ খান বলেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই রোগির শরিরে প্লাজমা থেরাপি শুরু করতে পারবো। তবে এর জন্য সবচেয়ে বড় বাধা ডোনার। তাই যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের অবশ্যই এগিয়ে আসতে হবে।
[৭] ডা. এম এ খান বলেন, এখন পর্যন্ত এই কার্যক্রমের জন্য যেসব কিট ও মেশিনারিজ নিজ উদ্যোগে সংগ্রহ করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ এগুলো সংগ্রহে সহায়তা করেছে। এসব যন্ত্রাংশ ও প্লাজমা সংগ্রহের কিটগুলো খুবই ব্যায়বহুল।
[৮] ডা. এম এ খান বলেন, প্লাজমা সংগ্রহের জন্য যে কীট ব্যবহার করা হচ্ছে সেটি আনা হয়েছে স্পেন থেকে। এটির দাম প্রায় ১৩ হাজার টাকা। সংগৃহিত প্লাজমার মধ্যে কতটুকু এন্টিবডি রয়েছে তা পরীক্ষা করতে একটি কীট প্রয়োজন হয়। সেটিও বেশ ব্যায় বহুল। এই প্রক্রিয়ায় রক্ত থেকে প্লাজমা ও তার থেকে অ্যান্টিবডি সংগ্রহের কিট এবং যন্ত্রপাতি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচ জোগাতে হবে সরকারকেই।
[৯] স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান জানান, এটি যেহেতু সরকারি হাসপাতালে শুরু হয়েছে। সেহেতু সরকারই চেষ্টা করবে এটির ব্যায় ভার গ্রহন করতে।