ইয়াসিন আরাফাত : [২] ভারতের বিরোধীদল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী আজ করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্থ অর্থনীতির জন্য দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণা করা ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজটি নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এসময় তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যদি সরকার এর পরিবর্তে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা না দেন তবে আসন্ন দিন গুলো বিপর্যযয়ে রুপ নিবে। জুম ভিডিও কলের মাধ্যমে সাংবাদিকদের উদ্দেশে রাহুল গান্ধী কৃষক এবং অভিবাসীদের জন্য তাত্ক্ষণিকভাবে ত্রাণ সরবরাহ করতে না পারা এবং “ঋণের প্যাকেজ” সম্পর্কেও গুরুতর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। এনডিটিভি, দ্য হিন্দু, জি নিউজ
[৩] রাহুল গান্ধী বলেন, আমাদের জনগণের অর্থের প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর এই প্যাকেজটি নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা উচিত। মোদিজির সরাসরি নগদ স্থানান্তর, এমএনআরইজিএ-র অধীনে ২০০ দিনের কর্মদিবস, কৃষকদের জন্য অর্থ সম্পর্কে চিন্তা করা উচিত, কারণ তারা ভারতের ভবিষ্যত।
[৪] এ সময় রাহুল গান্ধী, গত বছর কেরলের লোকসভার সাংসদ সাধারণ নির্বাচনের প্রচারের সময় কংগ্রেস প্রস্তাবিত ন্যায় স্কিমটি তুলে ধরেন- যাতে সমাজের দরিদ্রতম শ্রেণির জন্য বার্ষিক ৭২ হাজার টাকা আয়ের সহায়তার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। রাহুল গান্ধী দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারকেও অনুরূপ পরিকল্পনা নিয়ে আসার আহ্বান জানান। “
[৫] রাহুল গান্দী বলেন, রাস্তায় হাঁটতে থাকা অভিবাসী শ্রমিকের অর্থ দরকার, ঋণের দরকার নেই। যে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন তার অর্থ দরকার, ঋণ নয়। আমরা যদি তা না করি তবে এটি একটি বিপর্যয়কর সমস্যা হয়ে উঠবে।
[৬] রাহুল গান্ধী এই সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী মোদিকে অভিবাসীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে “কমপক্ষে ৭,৫০০ টাকা” পাঠানোর অনুরোধ করেন। এই মাসের শুরুর দিকেই নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে আলোচনায় এই বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন।
[৭] অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি জনসংখ্যার ৬০ শতাংশের কথা বলছি, আমরা তাদের কিছু অর্থ দেব, আমার মনে হয় না তাতে খারাপ কিছু হবে। অভিজিৎ আরও বলেন, আমেরিকাও ঠিক এই পন্থাই নিয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :