আরিফুল ইসলাম, সরাইল প্রতিনিধি : [২] ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে লকডাউন ঘোষণার পরও বাজারগুলো মানছে না সরকারি আদেশ। উপজেলার বাজারগুলোতে খোলা থাকছে বিভিন্ন দোকান। বড় বড় মার্কেটে’র দোকানগুলো এক দরজা (সাটার) খোলা রেখে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
[৩] এ পরিস্থিতে শুক্রবার বিকেলে সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ বাজারে বিভিন্ন কাপড়ের দোকান, গার্মেন্টস, টেইলার্স, কসমেটিক, জুতা স্যান্ডেলের দোকান, সেলুনসহ অন্তত ৩০টি দোকান সিলগালা করেছেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিয়াংকা।
[৪] এসময় করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে কাপড়ের দোকান খোলায় কালিকচ্ছ বাজারের ৩ ব্যবসায়ীকে ২২ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়।
[৫] এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিয়াংকা সাংবাদিকদের জানান, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে বাজারে কিছু কিছু দোকান খোলা থাকছে। দোকানদারদের মাইকিং করে জানানোর পরও তারা কিছুই মানছেনা। তাই কালিকচ্ছ বাজারের কিছু দোকান সিলগালা করে সর্তক করা হয়েছে।
[৬] কালিকচ্ছ ইউপির সদস্য ও কালিকচ্ছ বাজারের ব্যবসায়ী মো. বশির উল্লাহ শুক্রবার রাতে জানান, সরাইল উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকা মহোদয় নিজে উপস্থিত থেকে বাজারের অন্তত ৩০টি দোকান সিলগালাসহ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে জরিমানাও করেন তিনি।
[৭] এদিকে, এতোগুলো দোকান সিলগালা করায় কালিকচ্ছ বাজারের ব্যবসায়ীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের দাবি, এভাবে দোকান সিলগালা করা উচিত হয়নি। দোকানগুলোতে লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল। দীর্ঘদিন দোকান বন্ধ থাকলে ধূলা বালুতে ও ইঁদুরের উপদ্রবে মালামাল নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনিতেই লকডাউনে ব্যবসায়ীদের ক্ষতির সীমা নেই। এরমধ্যে এসব মালামাল নষ্ট হলে ব্যবসায়ীদের পথে বসা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।
[৮] নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালিকচ্ছ বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, আনোয়ার হোসেন নামে এক কাপড় ব্যবসায়ী ভয়ে দোকান ফেলে ভবনের পাঁচ তলায় গিয়ে লুকান। সেখান থেকে তাকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে এনে পুলিশ প্রকাশ্যে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে এসিল্যান্ডের সামনেই। এ দৃশ্য উপস্থিত ব্যবসায়ীদের মনে চরমভাবে আঘাত করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :