প্রিয়াংকা আচার্য্য : [২] ঢাকা শিশু হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান ও অণুজীববিজ্ঞানী অধ্যাপক একাত্তর সংযোগে জানান, ভাইরাসটি পরিবর্তিত হচ্ছে খুব দ্রুত। কিন্তু শক্তি একই রকম থেকে যাচ্ছে। আমরা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে এর গতি প্রকৃতি বোঝার চেষ্টা করছি।
[৩] সার্সের সময় আমরা দেখেছি, ভাইরাসটা যেভাবে সংক্রমণ শুরু করেছিল সেভাবে বেশি দিন থাকেনি। হঠাৎ করে মিউটেশন হয়ে দুর্বল হয়ে গেছিলো। তাই মৃতের সংখ্যা খুব কম হয়েছিল।
[৪] আমি আগেও এ কথা বলে সমালোচনার শিকার হয়েছি যে বর্তমান মহামারী সামাল দিতে আমাদের রেজিমেন্টাল একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে। খুব কঠোরভাবে স্বাস্থ্যগত দিক নির্দেশনা মানতে হবে। আপনি যদি এটা ফলো না করেন তাহলে কিন্তু কোন ফলই আসবে না।
[৫] চীন, শ্রীলংকা, তাইওয়ান, ফিলিপাইন তাই করেছে। কড়া নীতি অনুসরন করেছে। সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকেই সব বন্ধ করে দিয়েছে।
[৬] প্রতিশেধক হিসেবে অক্সফোর্ড থেকে যে ভ্যাকসিনটা আবিস্কার করা হয়েছে সেটাও আসতে আসতে এ বছরের শেষ নাগাদ। তার কার্যকারিতা নিয়েও তেমন কিছু বলা যাচ্ছে না।
[৭] যদি কোন ভ্যাকসিন আবিস্কার হয় তা পাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা বেশ পেছনের সারিতে রয়েছি। যে দেশগুলো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ভ্যাকসিন তৈরিতে অবদান রাখে তারাই তা আগে পাবে।
[৮] এখন পর্যন্ত কোন ভ্যাকসিন আমরা টাকা দিয়ে ক্রয় করিনি। ভ্যাকসিন আসলে তা দেশের ১৮ কোটি মানুষের জন্য আনতে হবে। অল্প সংখ্যক ভাকসিন এক্ষেত্রে কোন কাজে আসবে না। সূত্র : একাত্তর টিভি
আপনার মতামত লিখুন :