রাশিদ রিয়াজ : [২] ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, ইসরায়েল, জার্মানি, চীন, মেক্সিকো, বুলগেরিয়া, অস্ট্রিয়া. মেক্সিকো, পর্তুগাল, রোমানিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নিঃসন্তান ব্যক্তি কিয়েভের বায়োটেক্স কমের ওপর সারোগেট শিশু পাওয়ার জন্যে ভরসা করে থাকেন। ব্রিটেনের সংযুক্তি আছে এ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে। এজেন্য প্রতিটি শিশুর জন্যে ব্যয় করতে হয় ৫ হাজার ৭৪৫ থেকে ৫৭ হাজার ৩৬৫ পাউন্ড পর্যন্ত। দি সান
[৩] নির্ধারিত সময়েই এসব শিশুর জন্ম হওয়ার পর কিয়েভের ভেনিচ হোটেলে যত্নআত্তির মধ্যে রাখা হয়েছে তাদের। সকালের মিষ্টি রোদ পোহানো এবং মৃদু উষ্ণ পানিতে গোসল দেয়া হচ্ছে। দেখভালকারী ম্যারিনা তা ছবি সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়ে দিচ্ছেন। কিন্তু ইউক্রেনের সীমান্ত করোনার কারণে বন্ধ থাকায় এসব শিশুর অভিভাবকরা তাদের গ্রহণ করতে পারছেন না।
[৪] ছবি দেখে মনে হয় শিশু তৈরির কারখানা। ক্রন্দরত শিশুদের আদর করছে নার্স। গোসল করিয়ে দিচ্ছে। এমন মন্তব্য করে ইউক্রেইন পার্লামেন্টের মানবাধিকার ন্যায়পাল লুদমিলা ডেনিসোভা বলেন বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সারোগেট শিশু এরা। অবশ্য উন্নতমানের যত্ন ও পরিবেশেই ওরা রয়েছে।
[৫] কার বাচ্চার কতটা ওজন, কি পরিমান খাচ্ছে তাও জানিয়ে দেয়া হচ্ছে অভিভাবকদের। শিশুদের কাছে না পাওয়া তাদের জন্যেও খুবই হৃদয়বিদারক। চিকিৎসকরা নিয়মিত শিশুদের পরীক্ষা করছে। অভিভাবকদের বিশেষ অনুমতি দেয়া হবে শিশুদের নিয়ে যাওয়ার জন্যে এমনটি আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
[৬] বাচ্চা আছে বলে হোটেলটিকে পুরোপুরি কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। নার্সদের সেখানেই থাকতে হচ্ছে দিন রাত ২৪ ঘন্টা। শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তাতিয়ানা লিসভস্কায়া আশ্বস্ত করেন এ বিষয়টি।
[৭] ইউরোপে এধরনের সারোগেট বাচ্চা নেয়ার সুযোগ নেই। ভারতেও নিষিদ্ধ। তবে ইউক্রেনে তা বিধিসম্মতভাবেই রয়েছে বলে বিভিন্ন দেশ থেকে নিৎসন্তান অভিভাবকরা ছুটে আসেন কিয়েভেই।
আপনার মতামত লিখুন :