লাইজুল ইসলাম : [২] শুক্রবার (১৫ মে) বেলা ১১টায় এবং বিকাল সাড়ে ৩টায় অনুষ্ঠিত ডিএনসিসির দুইটি পৃথক পৃথক অনলাইন সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র বলেন, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দেওয়া হবে। শনিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া চিরুনি অভিযান সফল করতে নবনির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরদের আহবান জানান।

[৩] সভার শুরুতে কাউন্সিলর ও কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য নির্বাচনী ইশতিহার বাস্তবায়নের মাধ্যমে নগরবাসীর কল্যাণসাধন করা। আমাদের কাছে নগরবাসীর অনেক প্রত্যাশা। তাই কথায় নয় কাজে প্রমাণ দিতে হবে। মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়ন করতে হবে। এর ব্যতিক্রম হলে সাংবাদিক ও জনগণ কেউই ছাড় দিবে না।

[৪] উন্নয়নকাজসমূহ গুণগতমান বজায় রেখে নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করার তাগিদ দেন মেয়র। কাউন্সিলরদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, মশক নিয়ন্ত্রণ যেন ঠিক মতো হয় সেজন্য প্রত্যেক কাউন্সিলর ব্যক্তিগতভাবে মনিটর করবেন। নির্ধারিত গুণ ও পরিমান বজায় রেখে মশার কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে কিনা তা আপনাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে। প্রত্যেক কাউন্সিলর তাঁর ওয়ার্ডের মশক নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী থাকবেন এবং তাকেই জবাবদিহি করতে হবে।

[৫] এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে শনিবার থেকে অনুষ্ঠেয় চিরুনি অভিযান সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে সফল করার জন্য তিনি কাউন্সিলরদের প্রতি আহবান জানান।

[৬] উল্লেখ্য আগামীকাল থেকে অনুষ্ঠেয় চিরুনি অভিযানে প্রাপ্ত এডিস মশার বংশবিস্তারের বিস্তারিত তথ্য (ছবি, বাড়ি/ভবন/প্রতিষ্ঠানের মালিক, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি) সাথে-সাথে ডাটাবেইজে সংরক্ষণ করা হবে। এর ফলে ডিএনসিসি এলাকার কোথায় কোথায় এডিস মশার বংশবিস্তার ঘটছে তার একটা তালিকা পাওয়া যাবে। সকল তথ্য অ্যাপের মাধ্যমে ডিএনসিসির উর্ধতন কর্মকর্তাগণ দেখতে পাবেন এবং পরবর্তীতে তা মনিটর করা সহজ হবে।

[৭] মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আগামীকাল থেকে ডিএনসিসির অঞ্চল ১ থেকে ৫ এর প্রতিটি অঞ্চল থেকে ১টি করে ওয়ার্ডে এ চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। রমজান ও করোনা ভাইরাসের কথা বিবেচনায় নিয়ে ঈদের পূর্ব পর্যন্ত মোট ৫টি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। তবে ঈদের পরে ডিএনসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে।

[৮] করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ত্রাণ বিতরণ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, ‘ত্রাণ বিতরণে জিরো টলারেন্স। যাদের প্রকৃতপক্ষে ত্রাণের প্রয়োজন, তাদেরকে ত্রাণ দিতে হবে। ত্রাণ নিয়ে কোনোরকম নয় ছয় সহ্য করা হবে না’। প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের মাধ্যমে যে পরিমাণ ত্রাণ বিতরণ করা হয়, একই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলরের মাধ্যমে তার ২০ শতাংশ ত্রাণ বিতরণ করার নির্দেশ তিনি দেন।

[৯] কাউন্সিলরদেরকে প্রতি মাসে একবার ফেইসবুক লাইভে এসে জনগণের মুখোমুখি আসার আহবান জানান।