ডিডিমুন:[২]এ আন্তর্জাতিক চ্যারিটি সংস্থার বাল্যবিয়ে বিষয়ক সংস্থাটির একজন বিশেষজ্ঞ এরিকা হল বলেন, যখন কোনো ধরনের সংঘাত, প্রাকৃতিক বিপর্যয় এবং মহামারি দেখা দেয় তখন বাল্যবিয়ের হার বেড়ে যায়। এখন সেটি রোধ করার জন্য আমরা যদি এই মুহূর্তে না ভাবি তাহলে অনেক দেরি হয়ে যাবে। স্বাস্থ্য সমস্যার দিকে নজর দিতে গিয়ে আমরা আর অপেক্ষা করতে চাই না। আমাদের গবেষণার স্থান ছিল বিশেষ করে দুক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা ও উত্তর আমেরিকার ১২১টি দেশ। সেসব দেশে অভিভাবকদের সাথে আলাপ করে এমন আভাস পেয়েছি। রয়টার্স
[৩] তিনি বলেন , মেয়েদের অভিভাবকরা অনেকেই অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন। বিশেষ করে দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত জনগোষ্ঠীর।সে কারণেই এমন ঘটে থাকে।
[৪] এরিকা হল উইমেন রাইটস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, করোনা প্রতিরোধে লকডাউন আরোপের ফলে স্কুলগুলো বন্ধ থাকায় এই ঝুঁকি আরও বেড়ে গেছে। লকডাউনের কারণে বাল্যবিয়ে রোধে কর্মসূচিগুলো পরিচালনা করাও কঠিন হয়ে পড়েছে । অনেক দেশেই এ লকডাউনের সুযোগে ইতোমধ্যেই বিয়ে হচ্ছে বলে আমরা খবর পেয়েছি।
[৫]তিনি বলেন, বুধবার জাতিসংঘ সতর্ক করেছে যে, করোনার ধাক্কায় উন্নত ও উন্নয়নশীল সব দেশেই দারিদ্র্যের হার বেড়ে যাবে। ২০৩০ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ১৬০ মিলিয়ন মানুষ দরিদ্রের কাতারে নাম লেখাতে পারে। এর মধ্যে অল্প সময়েই ৩৪ মিলিয়নের মতো মানুষ চরম দারিদ্রতার দিকে ঝুঁকে পড়বে।এছাড়াও অর্থনীতিবিদরা বিশ্বমন্দার কথা বলছেন। ফলে বাল্যবিয়ে ঠেকানো কঠিন হয়ে পড়বে।
আপনার মতামত লিখুন :