রাজু আলাউদ্দিন : [২] ডেলিভারি ধীর গতির কারণে কন্টেইনার জট নিরসনে হিমশিম খাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এখনো বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে ৪৪ হাজার কন্টেইনার আছে। গত আড়াই মাসে স্টোরের ভাড়া বাবদ ১শ ৭০ কোটি টাকা ছাড় দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। শতভাগ ভাড়া মওকুফ করতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে সংস্থাটি।
[৩] বন্দরের আয়ের মূল উৎস হলো কন্টেইনার স্টোররেন্ট। কিন্তু ডেলিভারি ধীরগতির কারণে বন্দরে কন্টেইনার জট নিরসনে তিন ধাপে ১৬ মে পর্যন্ত স্টোররেন্ট শতভাগ মওকুফ করা হয়। ফলে ২৭ মার্চ থেকে ৪ মে পর্যন্ত ১৩৮ কোটি টাকা এবং শেষ পর্যায়ে আরো প্রায় ৩৫ কোটি টাকা নিজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হয় বন্দর।
[৪] চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ১৬০ থেকে ৭০ কোটি টাকা আয় কম হলেও এটা সার্বিক ব্যবসার স্বার্থেই বন্দর থেকে করা হয়েছে।
[৫] শুধু স্টোররেন্ট মওকুফ করে বন্দর কর্তৃপক্ষ আয় থেকে বঞ্চিত হয়নি। বর্তমানে বন্দরে খালাসকৃত কন্টেইনার প্রাইভেট আইসিডিতে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তেও বন্দরকে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে। এখনো বন্দরে রয়েছে ৪৪ হাজারের বেশি কন্টেইনার।
[৬] চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স পরিচালক এস এম আবু তৈয়ব বলেন, বন্দরে অনেক টাকার ঘাটতি যাচ্ছে। ব্যবসায়ীদের উচিত যার যার পণ্য রয়েছে তা খালি করে খালাস করা। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে কন্টেইনার পড়ে থাকায় ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ীদের। পি আই এল বাংলাদেশ ভারপ্রাপ্ত প্রধান মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জহির বলেন, আমদানিকারকরা তাড়াতাড়ি ডেলিভারি নেয়, তাহলে আমরাও কন্টেইনার ব্যবহার করতে পারবো।
[৭] ৪৯ হাজার টিইউএস ধারণ ক্ষমতার এই বন্দরে কন্টেইনার থাকে ৪০ হাজারের নিচে। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন সাড়ে চার হাজারের বেশি কন্টেইনার ডেলিভারি হলেও এখন তা নেমে এসেছে দেড় হাজারে। ১১টার সময় সংবাদ
আপনার মতামত লিখুন :