মাহমুদুল আলম : [২] ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. কাশফিয়া ইসলাম এ কথা বলেন।একাত্তর টিভিতে অনুষ্ঠিত একাত্তর জার্নালে বৃহস্পতিবার রাতে অনলাইনে সরাসরি সংযুক্ত হয়ে এই নিয়ে কথা বলেন তিনি।
[৩] করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়া কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় ১৬ মে শনিবার থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুরু হতে যাচ্ছে এই পদ্ধতির চিকিৎসা। ডা. কাশফিয়া জানান, এদিন ২/৩ জন রক্তদাতার শরীর থেকে প্লাজমা বা সাদা রক্তরস সংগ্রহ করে বিভিন্ন প্রক্রিয়া অনুসরণের পর তা কোভিড-১৯ রোগীর শরীরে প্রবেশ করানো হবে।
[৪] তিনি বলেন, একজন কোভিড-১৯ রোগী সুস্থ হওয়ার ১৪ দিন পর আরেকজন কোভিড-১৯ রোগীকে প্লাজমা দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে প্লাজমা দাতা ও গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ একই হতে হবে। তবে কেবল রক্তের গ্রুপ মিলে গেলেই হবে না, প্লাজমা দাতার রক্তের নিয়মিত আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নেবেন, যে এটি রোগীকে দেয়া যাবে কিনা।
[৫] ডাক্তার কাশফিয়া বলেন, সব কোভিড-১৯ রোগীকে প্লাজমা থেরাপি দেয়া যাবে তা নয়। কেবল মারাত্মক রোগীকেই প্লাজমা থেরাপি দেয়ার ব্যাপারে ভাবা যাবে। পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ রোগীদের ৮০ শতাংশই বাসায় থেকে সুস্থ হয়ে যান। বাকিদের মধ্যে পাঁচ শতাংশ মারাত্মক সংকটপন্ন থাকেন। এই পাঁচ শতাংশের মধ্যে কাকে কাকে প্লাজমা থেরাপি দেয়া যাবে সেই সিদ্ধান্ত নেবেন সংশ্লিষ্ট ডাক্তাররা।
আপনার মতামত লিখুন :