প্রিয়াংকা আচার্য্য : [২] ইতালি, চীনসহ ইউরোপের সকল দেশ প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করছে। স্প্যানীশ ফ্লুর সময় থেকে প্রায় ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে এটি প্রচলিত একটি চিকিৎসা পদ্ধতি।
[৩] বাংলাদেশে প্লাজমা ব্যাংক তৈরির কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. আশরাফুল হক।
[৪] তিনি একাত্তর জার্নালকে বলেন, প্লাজমা যারা দিচ্ছেন তাদের মধ্যে শারীরিক দুর্বলতা বা ক্ষতির কোন লক্ষণ দেখা যায়নি। এটি আসলে রক্ত দেয়ার চেয়েও সহজ। কারণ রক্ত দিলে আমাদের শরীর থেকে সেল চলে যায়। কিন্তু প্লাজমা যেহেতু রক্তের জলীয় একটা অংশ সেহেতু তেমন কিছু হয় না।
[৫] আর যে রক্ত দেয়া হয় তা পূরণে ৪ মাস সময় লাগে কিন্তু প্লাজমা পূরণে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগে যদি পুরোটাই আমরা নিয়ে যাই। কিন্তু আমরা সেই অংশ থেকে ৪০০ বা ৬০০ এমএল নেই। যেটি আরও দ্রুত পূরণ হয়ে যায়।
[৬] একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে ৬০০ এমএল প্লাজমা সংগ্রহ ও প্রদানে ২৫ থেওক ২৮ মিনিট এবং ৪০০ এমএলের ক্ষেত্রে ২০ মিনিটেরও কম সময় লাগে।
[৭] পাশর্^বর্তী দেশ ভারতে কোভিড-১৯ সংক্রমণের পর দিল্লীর বিভিন্ন সেন্টারে প্রায় ৩০০ জনকে প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ৮ মে সরকার প্লাজমা থেরাপি ব্যবহার করার বৈধভাবে অনুমতি দেয়। এরপর দিনই ৩৮টি সেন্টারে প্লাজমা থেরাপি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হয়। বর্তমাতে ৮৩টি সেন্টারে এ থেরাপি আগামী সপ্তাহ থেকে ব্যবহারের কার্যক্রম শুরু করবে।
[৮] ১১ মে পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ৮৭০০ জনকে প্লাজমা থেরাপি দেয়া হয়েছে। তুরস্কে এর সংখ্যা ১০ থেকে ১২ হাজার। বাংলাদেশে যদি আমরা প্লাজমা ডোনারের সংখ্যা বাড়াতে পারি তবে সার্ভিসের সংখ্যা দ্রুত বাড়বে। সূত্র : একাত্তর টিভি
আপনার মতামত লিখুন :