আরএইচ রফিক : [২] বগুড়ার শেরপুরে একটি স্পিনিংং মিলে বকেয়া বেতনের দাবীতে বিক্ষোভ করেছে শ’ শ’ শ্রমিকরা । গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শেরপুর রনক স্পিনিং মিলের শ্রমিকদের এই বিক্ষোভ চলাকলে শ্রমিকদের সাথে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ব্যান্টম চার্জ ও রাবার বুলেট ছুঁড়েছে পুলিশ । এতে করে ৪ পুলিশ সহ কমপক্ষে ১১ শ্রমিক আহত হয়েছে।
[৩] জানা গেছে, বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর এলাকার রনক স্পিনিং মিলে প্রায় ৫ শতাধিক শ্রমিক কাজ করেন। করোনা সংক্রামন রোধে মিলটি বন্ধ রাখার পর অতি সম্প্রতি মিলটি আবারো চালু করা হয়। মিল চালুর পর গত এপ্রিল মাসের বেতন সহ ঈদের বোনাসের দাবি করে শ্রমিকরা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ এতে সারা না দেয়ায় শ্রমিকদের মধ্য হতাশা ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে । তারই জের ধোরে বৃহস্পতিবার সকালে কাজে যোগ দেবার এক পর্যায়ে বিক্ষোভ শুরু করে মিলে কর্মরত শ্রমিকরা ।
[৪]এর এক পর্যায়ে কতিপয় শ্রমিকরা সেখানে ভাঙচুর কার্যক্রম শুরু করে। পরে ঘটনার সংবাদ পেয়ে দাঙ্গা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশকে দেখে উত্তেজিত হয়ে ওঠে এবং এক পর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা শুরু করে। এর এক পর্য়ায়ে সেখানে ব্যান্টম চার্জ ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ শ্রমিকদের ছত্র ভঙ্গের চেষ্টা করে পুলিশ। বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলা সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষে ৪ পুলিশ সহ ও ১১ শ্রমিক আহত হয়।
[৫] ঘটনার পর পর শেরপুর –ধুনট সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান ও রনক স্পিনিং মিলের কর্পোরেট জিএম আব্দুল কাদেরএর সাথে বৈঠকে বসেন। বৈঠক শেষে শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়া ছাড়াও সংঘর্ষে আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এতে শ্রমিকরা শান্ত হয়ে কাজে যোগদান করেন।
আপনার মতামত লিখুন :