শিরোনাম
◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা ◈ ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দ্রুত আরোপ করুন: জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ◈ যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত ◈ বাংলাদেশে পূর্ণাঙ্গ ও মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে কাজ করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র: ম্যাথিউ মিলার

প্রকাশিত : ১৫ মে, ২০২০, ০৭:৪০ সকাল
আপডেট : ১৫ মে, ২০২০, ০৭:৪০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

করোনা প্রতিরোধে শারীরিক-মানসিক ফিটনেস খুবই জরুরি বিবেচনায় সব ইয়োগা সেন্টার খুলে দেওয়া হোক

সাদিয়া নাসরিন : আমি বুঝলাম নাÑ মেয়েরা পার্লারে যাচ্ছে, চুল কাটছে, নখ কাটছে, ভ্রƒ তুলছে এবং সার্ভিস প্রোভাইডাররা সেইফটি ইকুইপমেন্ট পরে সেবা দিচ্ছে এটা নিয়ে ফেসবুকবাসীর ঘুম হচ্ছে না কেন? বেটারা সেলুনে যায় না? বেটারা চুল, দাড়ি, নক কাটে না, বডি বিল্ডিং করে না, ফেসিয়াল করে না? তো ২ মাসের লকডাউনে বেটাদের যেমন চুল, দাড়ি, নখ এবং আরও সব জিনিসপত্র লম্বা হয়েছে এবং তারা সে সব সাফসুতরো করতে সেলুনে লাইন দিচ্ছে তেমনিই মেয়েদেরও প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে চুল, দাড়ি (যেটারে আদর করে আপার লিপ, বটম লিপ বলা হয়), ভ্রƒ, হাত-পায়ের নখ এবং অন্যান্য জিনিসপত্র বাড়ছে এবং জাগতিক নিয়মেই সে সব সাইজ করার প্রয়োজন মেয়েদেরও হয়েছে এবং সবাই সেটা বাসায় করতে পারেনি বা করেনি, পার্লারে বা সেলুনে গেছে। এখন সেবাকর্মীরা এবং সেবা গ্রহীতারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং নিজের প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট পরে সেবা দিচ্ছে এবং নিচ্ছে এটা তো ভালো একটা দিক হিসেবেই আলোচনায় আসা উচিত ছিলো। কিন্তু গাছবলদের জাতেরা ট্রল করে একেবারে মদিনার ঘরে ঘরে ঈদ লাগিয়ে দিচ্ছে। নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখাতো কোনো অপরাধ নয়। তারা তো বলদ বেটাদের মতো পিপিই পরে পাড়ার দোকানে চা-বিড়ি খেতে নামেনি বা থুঁতনির নিচে মাস্ক লাগিয়ে ‘লকডাউন’ দেখতে বা গুলতি মারতে যায়নি।
শোনেন ভাইয়া এবং আপুরা, নাকের তলায় মাস্ক দিয়ে শখের শপিংয়ে যাওয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে অতি প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে যাওয়া যেমন এক বিষয় নয়, তেমনি মডেলিংয়ের জন্য বিউটি গ্রুমিং করতে যাওয়া আর প্রয়োজনে চুল, নখ, দাড়ি কাটতে যাওয়া এক জিনিস নয়। বাস্তবতা বুঝতে শিখেন এবং তফাৎ করতে শিখেন। অল্প পানির মাছের মতো উপরে উপরে কতো লাফাবেন আর? মূর্খামির একটা লিমিট তো থাকা উচিত না? আমার তো মনে হয়, করোনা প্রতিরোধের জন্য শারীরিক-মানসিক ফিটনেস খুবই জরুরি বিবেচনায় সব ফিটনেস ইয়োগা সেন্টারগুলোও এবার খুলে দেওয়া হোক। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত হোক। বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ এবং বৈশ্বিক বাস্তবতায়ও করোনার সঙ্গে কোঅপ করে বাঁচতে শেখা ছাড়া আর অল্টারনেটিভ নেই কিন্তু।
বি: দ্র: কথায় কথায় মেয়েদের নিয়ে ট্রল করার আগে নিজেদের চেহারাগুলো নিচের ছবিতে দেখে নিয়েন। জি আপনারাই এই মাল। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়