মুনশি জাকির হোসেন : করোনাভাইরাস যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে সেটি বিশ্ব পূর্বে দেখেনি। বাংলাদেশও দেখেনি। সুতারং পূর্বের কোনো অভিজ্ঞতা, পরিকল্পনা এখানে কার্যকর হবে না। নতুন সমস্যা, নতুন পরিকল্পনার বিকল্প নেই। আবার একটি দেশ যেভাবে, যে পরিকল্পনাতে এই সমস্যা মোকাবেলা করছে সেই একই উপায়ে অন্য দেশ সফল হবে সেটিও প্রমাণিত সত্য নয়। স্বাস্থ্যগত/রোগতত্ব নিয়ে কিছুটা সাদৃশ্য থাকলেও অর্থনৈতিক দিক থেকে উন্নত বিশ্ব, অনুন্নত বিশ্ব একেবারেই বিপরীতে আছে। বাংলাদেশ যদি উন্নত বিশ্বের আদলে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলা করার চেষ্টা করে তবে সেটি বুমেরাং হতে বাধ্য।
ইতোমধ্যেই নকল করে লকডাউন ধারণা প্রয়োগ করতে গিয়ে জগাখিচুড়ি পাকিয়েছে। না হয়েছে লকডাউন, না হয়েছে শাটডাউন। মাঝখান দিয়ে আগডুম বাগডুম করে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে। অথচ এখানে কাজ নেই, ৩০ শতাংশ বেতন নেই নীতি ঘোষণা করা উচিত, যারা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে তাদের ৩০ শতাংশ বোনাস দেওয়া উচিত ছিলো। সরকারি-বেসরকারি সবাইকেই কমবেশি নগদ সহায়তার দরকার ছিলো। বিশেষ ব্যবস্থায় কৃষি অর্থনীতিতে আরও বেশি তৎপরতার দরকার ছিলো। সরকার আবারও সরকারি ছুটি বাড়িয়েছে শতভাগ বেতনের আওতায়। অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের মতো উন্নত দেশেও যারা কাজে যাচ্ছে না তাদের ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেতন কর্তন করা হচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতির জন্য বিশেষ বিশেষ ঘোষণা, প্যাকেজ দরকার ছিলো। কৃষি পণ্য পরিবহনের জন্য সরকারি বিশেষ নির্দেশনা, ব্যবস্থাপনার দরকার ছিলো। একমাত্র কৃষি শ্রমিক আনা-নেওয়া করা ছাড়া উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি নেই। অথচ এখানে পরিবহন সেক্টর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় অনেক কিছুই করতে পারতো। কয়েকটি ভালো সংবাদের মধ্যে সফলভাবে ধান কাটা, অতিরিক্ত চিকিৎসক/নার্স নিয়োগ, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সেবামূলক কর্মকা-, ছাত্রলীগের তৎপরতা, চাল চোরদের বিরুদ্ধে সরকার, আওয়ামী লীগের জিরো টলারেন্স অন্যতম। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :