আনিস তপন : [২] শুক্রবার থেকে নোয়াখালী সদর উপজেলার মাইজদী শহরে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছেন নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও নিজ নির্বাচনী এলাকার নগদ চৌধুরী খ্যাত একরামুল করিম চৌধুরী।
[৩] বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় মাইজদী এলাকার জনগণের প্রতি ক্ষমা চেয়ে তিনি বলেন, মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবন রক্ষায় এমন কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
[৪] তিনি বলেন, সীমিত আকারে দোকান-পাট খুলে দেয়ার কারণে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের মাধ্যমে অতীব জরুরী প্রয়োজনীয় কাজ-কর্ম করার জন্য বার বার অনুরোধ জানালেও তা মানছেন না কেউ। এ কারণে জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আর লকডাউন কার্যকর করতে এরই মধ্যে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
[৫] এদিকে স্থানীয় প্রশাসন ও একাধিক সূত্র মতে, করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই নিজ নির্বাচনী এলাকার অসহায়, দরিদ্র, কর্মহীন শ্রমিকের আর্থিক ও খাদ্য সংকট মোকাবেলায় নিজস্ব তহবিল থেকে এক কোটি ৫৭ লাখ টাকা বিতরণসহ সরকারি বিভিন্ন উৎস্য থেকে পাওয়া ত্রাণ সামগ্রী অকাতরে বিতরণ করে যাচ্ছেন
[৬] তিন বারের নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য। এখন পর্যন্ত নোয়াখালী -৪ আসনের এই সংসদ সদস্যের মাধ্যমে প্রায় ৭০ হাজার পরিবার সরাসরি উপকৃত হয়েছেন।
[৭] জানাগেছে, করোনা সংকটের শুরু থেকেই প্রতিনিয়ত নতুন উদ্যোগ আর ব্যাতিক্রম কার্যক্রমের মাধ্যমে জনগণকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী।
[৮] সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী দৈনিক সময়ের আলো পত্রিকার সাংবাদিক মাহমুদুল হাকিম অপু ও দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার ক্রাইম রিপোর্টার আসলাম রহমানের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে এক লাখ টাকা ও নিহত পুলিশ সদস্য জালাল উদ্দিন খোকা, রঘুনাথ রায়, মো. আব্দুল খালেক, মো. আশেক মাহমুদ, সুলতানুল আরেফিন ও নাজির উদ্দিনের পরিবার প্রতি ৫০ হাজার টাকা করে মোট তিন লাখ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা করেন তিনি।
[৯] এছাড়াও সূবর্ণচর উপজেলার কৃষকদের ধান কাটার জন্য নতুন ধান কাটার মেশিন ক্রয়ের জন্য ১৪ লাখ টাকা ও এই উপজেলার অসহায় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকে গোপনে সহায়তার লক্ষ্যে ২০ লাখ টাকা, স্থানীয় সাংবাদিকদের উৎসাহ দিতে দুই লাখ টাকাসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ১২৫টি পিপিই ও নোয়খালী পৌরসভার হতদরিদ্রদের জন্য ১০ লাখ টাকা নগদ সহায়তা দিয়েছেন।
[১০] এর পরেও নোয়াখালী জেলায় করোনা রোগীর চিকিৎসায় নিয়োজিত ডাক্তার/নার্সদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় পিপিই, তাদের আবাসনের জন্য স্থানীয় বিলাসবহুল হোটেলের কক্ষ ভাড়া নেয়াসহ তাদের খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অর্থায়নেরর মাধ্যমে হাসপাতালে আসা-যাওয়ার জন্য সার্বক্ষণিক তিনটি মাইক্রোবাসের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন একরামুল করিম চৌধুরী।
আপনার মতামত লিখুন :