শিমুল মাহমুদ: [৩] বাংলাদেশে সংক্রমিত নতুন করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিংসহ আক্রান্তদের এক্সোম (মোট জিনের সমন্বয়) সিকোয়েন্সিংয়ের বিস্তৃত গবেষণা শুরু করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকরা।
[৪] সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কমিটির আহ্বায়ক শরীফ আখতারুজ্জামান বলেন, এই প্রকল্পের আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছে এক কোটি টাকা। প্রাথমিক পর্যায়ে কাজটি শুরু করার জন্য আংশিক ব্যয় নির্বাহের জন্য দেশে-বিদেশে অবস্থানরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অ্যালামনাইরা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
[৫] চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন দেশে করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করার পরও কেন এ প্রকল্প নেওয়া হল- এমন প্রশ্নে অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, তারা মাত্র একটা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং করেছে। কিন্তু অধিক সংখ্যক জিনোম সিকোয়েন্সিং ছাড়া এই ভাইরাসের আচরণগত বৈশিষ্ট জানা সম্ভব নয়। কারণ ভাইরাসটি তিনশরও বেশি মিউটেশনের মাধ্যমে তার জিনগত বৈশিষ্টের পরিবর্তন ঘটিয়েছে।
[৬] তাই আমরা প্রাথমিকভাবে ১০০টি ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স করার কাজ শুরু করেছি। অধিক সংখ্যক ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে একটি কার্যকর ফলাফল বের করতে চাই আমরা।
[৭] এক্সোম সিকোয়েন্সিংয়ের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিন প্রকৌশল ও জীব প্রযুক্তি বিভাগের এই অধ্যাপক বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ে যাদের মাঝে কোভিড-১৯ এর পরিপূর্ণ লক্ষণ, মাঝারি লক্ষণ অথবা কোনো লক্ষণই ছিল না এরকম তিন ধরনের পজিটিভ ব্যক্তিদের এক্সোম সিকোয়েন্সিং করা হবে।
[৮] আমাদের জিনোমে মোট জিনের সংখ্যা প্রায় বাইশ হাজারের মতো। কোন বিশেষ জিনের বৈশিষ্ট্যগত পরিবর্তনের কারণে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মাঝে এই লক্ষণগত ভিন্নতা পরিলক্ষিত হচ্ছে তা হয়তো জানা সম্ভব হবে। এই তথ্য জানা থাকলে আমাদের জনগোষ্ঠিকে লক্ষ্য করে ভ্যাকসিন তৈরি করা সহজ হবে। কেননা আমরা অনেক সময় দেখেছি এক দেশে তৈরি ভ্যাকসিন অনেক সময় ভিন্ন জনগোষ্ঠির উপর কার্যকর হয় না।
[৯] বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড রিসার্চ ইন সায়েন্স (সিএআরএস) ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় করোনাভাইরাস রেসপন্স টেকনিক্যাল কমিটি ও জীব বিজ্ঞান অনুষদের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকরা এসব তথ্য জানান
আপনার মতামত লিখুন :