শাহীন খন্দকার: [২] এদিকে করোনা সম্পৃক্ত বর্জ্য মাটি ও পানিতে মিশে জীবাণু খাদ্যচক্রে প্রবেশ করার শঙ্কা জানিয়েছেন একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সর্বস্তরের মানুষ মাস্ক-গ্লাভসের মতো সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করছে। আর এসব ব্যবহার শেষে স্বাস্থ্য গাইড না মেনে ব্যবহারকারীরা ফেলে দিচ্ছে যেখানে সেখানে। আর সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে পথচারী ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মীরা।
[৩] একটি গাছ দাঁড়িয়ে, প্রথম দেখায় মনে হবে করোনার থেকে বাঁচতে মাস্ক পরেছে গাছ। আসলে ব্যবহার শেষে মানুষের ফেলে দেয়া মাস্কের বোঝা বইতে হচ্ছে গাছটিকে। রাজধানীসহ জেলা উপজেলা গ্রামগঞ্জে এমন কোনো সড়ক পাওয়া দায়, যেখানে এভাবে পড়ে থাকা মাস্ক কিংবা গ্লাভসের দেখা মিলবে না। পিপিইর মতো সংবেদনশীল সুরক্ষা সামগ্রীও অবহেলায় ফেলে রাখা হয়েছে। এসব সামগ্রীর মাধ্যমে পথচারীরাও করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন বলে সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা।
[৪] মেডিসিন ও সংক্রমণ রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আরিফুল বাশার বলেন, রাস্তার মধ্যে অনেক মাস্ক এবং গ্লাভস পড়ে থাকতে দেখা যায়। এটা স্বাস্থ্যের জন্য মেটেও নিরাপদ নয়। কারণ আমরা জানি ভাইরাসটি খালি জায়গায় ২-৩ দিন বেঁচে থাকে।
[৫] গেলো এক মাসে উৎপাদিত প্লাস্টিক বর্জ্য নিয়ে গবেষণা করেছে পরিবেশবাদী বেসরকারি সংস্থা এসডো। তারা বলছে, ২৬ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন হয়েছে সাড়ে ১৪ হাজার টন। যার মধ্যে শুধু হ্যান্ড গ্লাভসই ছিল ৫ হাজার ৮৭৭ টন। গুরুত্ব না দিলে মাটি ও পানির মাধ্যমে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে খাদ্যচক্রে। তাই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাধারণ বর্জ্যের সঙ্গে না মিশিয়ে আলাদা ব্যাগে এসব বর্জ্য সংগ্রহ করার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা।
[৬] করোনাসম্পৃক্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরকারি সংস্থাগুলোকে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে অসহায় স্বীকারোক্তি দিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিবেশ অধিদফতর পরিচালক জিয়াউল হক। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া পরিস্থিতি সামাল দেয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
[৭] গবেষকরা বলছেন, এভাবে যত্রতত্র ফেলা নিরাপত্তা সামগ্রীর মাধ্যমে মাটি ও পানিতে ছড়াচ্ছে জিবাণু। যা খাদ্যচক্রে প্রবেশ করে ঘটাতে পারে রোগের ভয়াবহ বিস্তার। তাই জনগণকে এসব আবর্জনা যত্রতত্র না ফেলা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নগর প্রশাসনকে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
[৮] এনভায়রমেন্ট অ্যান্ড সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট অগানাইজেশন এসডো মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, জাম সম্মৃদ্ধ এসব জিনিসগুলো যদি পরিবেশে যায় তাহলে মাটি পানিতেও জীবাণু মিশে যাবে। তথ্য সময় টিভি
আপনার মতামত লিখুন :