রাশিদ রিয়াজ : [২] আগামী ১৯ মে থেকে ৭৯টি মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক প্রত্যাহার শুরু হবে এবং তা অব্যাহত থাকবে ২০২১ সালের ১৮ মে পর্যন্ত। স্পুটনিক
[৪] শুল্ক তুলে নেয়া হচ্ছে এসব মার্কিন পণ্য হচ্ছে খনিজ আকরিক, বিমানের রাডার সরঞ্জাম, অর্ধপরিবাহী যন্ত্রাংশ, মেডিকেল জীবাণুনাশক এবং একাধিক মূল্যবান ধাতু, রাসায়নিক ও পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য।
[৫] মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক তুলে নেয়ার ঘোষণা চীন ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে দিয়েছিল। তখন সয়াবিন, শুয়োরের মাংস, কৃষি পণ্যের পাশাপাশি পেট্রোকেমিক্যাল পণ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল।
[৬] দুই দেশের শীর্ষ বাণিজ্য আলোকদের মধ্যে গত জানুয়ারিতে প্রথম পর্যায়ের চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা হয়। এর আওতায় চীন প্রথম বছর ২০০ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন পণ্য আমদানির পাশাপাশি পরের দুই বছরে ৭৭ ও ১২৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন পণ্য আমদানি বৃদ্ধি করতে রাজি হয়। এর বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র ১২০ বিলিয়ন ডলারের চীনা পণ্যের ওপর সাড়ে ৭ থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক প্রত্যাহারে রাজি হয়।
[৭] চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন দুটি দেশ সাম্যতা ও পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতেই এধরনের শুল্ক প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে।
[৮] তবে করোনাভাইরাসের কারণে উভয় দেশই এ বছরের প্রথম চারমাস একে অপরের সঙ্গে আমদানি রফতানিতে সুবিধা করতে পারেনি। চীনের মার্কিন পণ্য আমদানি এপ্রিলে হ্রাস পেয়েছে ১১.১ এবং মার্চে ৮৫.৫ শতাংশ।
আপনার মতামত লিখুন :