সুজিৎ নন্দী: [৩] স্বাস্থ্য বিধি মেনে না চলা দোকান বন্ধ করে দেয়া, বড় শপিংমলগুলো বন্ধ রাখা এবং দোকান মালিক সমিতির কঠোর অবস্থানের কারণে অনলাইন ব্যবসা জমে উঠতে শুরু করেছে। এতে বন্ধ বাজারে যে ক্ষতি হবে তা থেকে ক্ষতির পরিমান সামান্য হলেও কমবে বলে মনে করছেন পোশাক ব্যবসায়িদের একাংশ।
[৪] ঈদের ব্যবসা ও নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে এমন চিন্তা করেছে ব্যবসায়িরা। ইতোমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান এরই মধ্যে প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে। এজন্য জনবল নিয়োগ দেওয়া ও নেটওয়ার্ক বাড়ানোর কাজ চলছে।
[৫] বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলালউদ্দিন বলেন, এটিকে সবসময় স্বাগত জানায়। এটির জন্য একটি নীতিমালা প্রয়োজন। না হলে ক্রেতা বা গ্রাহকরা প্রতারিত হবে। এরই মধ্যে এরকম দৃষ্টান্ত দেখা গেছে।
[৬] একাধিক ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠান থেকে জানা যায়, রোজার জন্য উৎপাদনের যে প্রস্তুতি ছিল তার ৭০ শতাংশ উৎপাদন হয়ে গেছে। শো-রুমগুলোতে প্রদশর্নীর সময় চলে আসছিল। কিš‘ হঠাৎ করে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় শো-রুমগুলো ও অনলাইনও বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি সরকার ই-কমার্সের অনুমতি দিয়েছে। এখন চিন্তা কিভাবে অনলাইনে বাজার ধরা যায়।
[৭] দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম সাঈদ সুফি বলেন, বাজার খুললেও কোন ক্রেতা নেই। ক্রেতাদের মধ্যে নিয়ম ভাঙ্গার প্রবণতা আছে। নেই চিরচেনা সেই উৎসবের পরিবেশ। অবরুদ্ধ পরিবেশ, আয়-উপার্জনের সীমাবদ্ধতা, বৈশ্বিক বাণিজ্য চেইন ভেঙে পড়া ও মনস্তাত্তি¡ক কারণে ব্যবসায়ীরা হতাশ। এক্ষেত্রে অনলাইনে গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ প্রশংসনীয়।
[৮] এ ব্যাপারে স্বপ্ন সুপারশপের নির্বাহী পরিচালক সাব্বির নাসির বলেন, গ্রাহকদের চাহিদা আমা সব সময় পূরণ করে থাকি। রোজার সময় আমরা সকাল ৯টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ইফতারসহ অন্যান্য পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছি। আমাদের পোশাকের যে বিভাগ আছে তাদের মাধ্যমে পুরো রোজা এবং ঈদের আগের দিন পর্যন্ত গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছে দেয়া হবে। আমরা শতভাগ সফলতার সঙ্গে কাজ করছি।
[৯] পাঠাও রাইড শেয়ারের মার্কেটিং প্রধান সৈয়দা নাবিলা মাহবুব বলেন, রমজান এবং ঈদে আমরা গ্রাহককে সেবা সর্বোচ্চ সেবা দিতে পারবো। ইতোমধ্যে আমরা ‘টং’ এর মাধ্যমে মাসের বাজার পৌঁছে দিচ্ছি। এছাড়াও আমরা আড়াই হাজার মার্চেন্টের কাছ থেকে পণ্য নিয়ে গ্রাহকের হাতে দিতে পারি।
আপনার মতামত লিখুন :