সিরাজুল ইসলাম: [২] তবে নিয়মিত সুদের ওপর চক্রবৃদ্ধি সুদ, বিলম্বে পরিশোধে জরিমানা ও অতিরিক্ত মাশুল আদায় বন্ধ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ১৫ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত অতিরিক্ত সুদ ও জরিমানা আদায় বন্ধ হয়েছে।
[৩] ব্যাংক ভেদে ক্রেডিট কার্ডের সুদ ১২ থেকে ২৭ শতাংশ এবং বার্ষিক মাশুল তিন হাজার টাকা পর্যন্ত।
[৪] করোনার কারণে ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের চক্রবৃদ্ধি সুদ আরোপ ও আদায় স্থগিত, জরিমানা ও বিলম্বে বিল পরিশোধে মাশুল আদায় বন্ধের নির্দেশের পর অনেক গ্রাহক বিভিন্ন মাধ্যমে জানাচ্ছেন, সুদ আদায় বন্ধ হয়নি। আবার অনেকে বিলম্বে বিল পরিশোধে মাশুল আদায়ের কথাও বলছেন।
[৫] কর্মকর্তারা জানান, বিলম্ব সুদ আদায় করা হচ্ছে ১৫ মার্চের আগের। এরপর শুধু নিয়মিত সুদ আরোপ ও আদায় করা হচ্ছে।
[৬] বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সুদ মাফ করার কোন নির্দেশনা দেয়নি। চক্রবৃদ্ধি সুদ ও জরিমানা আদায় না করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। কোন ব্যাংক চক্রবৃদ্ধি সুদ ও জরিমানা আদায় বন্ধ না করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অভিযোগ জানানো যাবে। অভিযোগ সঠিক হলে গ্রাহক টাকা ফেরত পাবেন।
[৭] আগস্ট পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১২ লাখ ৩ হাজার ৪২৭ জন। জুনে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৩১ কোটি টাকা। ৪০টির মতো ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড সেবা দিচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :