আনিস তপন: [২] বৃহস্পতিবার এই আদেশ জারি করে তাতে বলা হয়েছে, সাধারণ ছুটি চলাকালে সড়ক পথে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী লঞ্চ বা নৌযান ও রেল চলাচলসহ অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল সম্পর্ণ বন্ধ থাকবে। তবে মহাসড়কে মালবাহী জরুরী সেবায় নিয়োজিত যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
[৩] এ সময় সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারিকে অফিসে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দিয়ে আদেশে বলা হয়েছে, সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন দপ্তর প্রয়োজন অনুসারে খোলা রাখবে এবং অধিক্ষেত্রের কার্যাবলী পরিচালনার জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। কর্মকর্তা/কর্মচারিদের জন্য অবশ্যই সরকারের নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধির ১৩ দফা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
[৪] আদেশে, করোনা ভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে চলমান ছুটি বৃদ্ধি করা হয়েছে জানিয়ে বলা হয়, আগামী ১৭ থেকে ২৮ মে পর্যন্ত ছুটির সময় জনসাধারণের চলাচলে আগের মতই সীমিত নিষেধাজ্ঞা থাকবে। তাছাড়া ২১ মে শবে-কদর এর সরকারি ছুটি, ২২, ২৩, ২৯ ও ৩০ মে সাপ্তাহিক ছুটি এবং ২৪, ২৫ ও ২৬ মে ঈদ উল ফিতরের সরকারি ছুটি এতে অন্তর্ভূক্ত থাকবে।
[৫] ছুটির সময় জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আন্ত:জেলা/আন্ত:উপজেলায় জনসাধারণের চলাচল সতর্কতার সঙ্গে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে। সকাল ৮টা থেকে সন্ধা ৬ টা পর্যন্ত ক্রয়-বিক্রয়, ঔষধ ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন/সৎকারের মত অতিব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ কোনো অবস্থাতেই বাড়ির বাইরে যেতে পারবে না এবং সবাইকে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
[৬] রোজা ও ঈদ উপলক্ষে দোকানে ক্রয়-বিক্রয়ের সময় পারস্পরিক দুরত্ব বজায় রেখে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুরণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে আদেশে।
[৭] শপিংমলের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ হ্যাণ্ডস্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি শপিংমলে আসা যানবাহনসমূহকে জীবানুমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে বলা হয়েছে বিকেল ৪টার মধ্যে শপিংমল বন্ধ করে দিতে হবে।
[৮] বিদ্যুত, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জরুরী পরিসেবাসহ জ্বালানী, ফায়ার সার্ভিস, স্থল, নদী ও সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম চলবে জানিয়ে আদেশে বলা হয়েছে, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত যান ও কর্মীগণ এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে।
[৯] সড়ক ও নৌপথে সকল প্রকার পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত ট্রাক, লরি, কার্গো ভেসেল চলাচল নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।
[১০] কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য, শিল্প পণ্য, রাষ্ট্রীয় প্রকল্পের মালামাল, কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান, হাসপাতাল ও জরুরী সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীর ক্ষেত্রে এই ছুটি প্রযোজ্য হবে না বলেও উল্লেখ রয়েছে আদেশে।
[১১] চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ডাক্তার/নার্স/কর্মী ও ওষুধসহ চিকিৎসা সামগ্রী বহনকারি যানবাহন ও কর্মী, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া কর্মী ও যানসহ ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্কে নিয়োজিত কর্মীগণ সাধারণ ছুটির আওতার বাইরে থাকবে।
[১২] কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করে ওষুধ শিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্পসহ কলকারখানা চালু রাখতে পারবে।
[১৩] পরিস্থিতি বিবেচনায় পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে শিল্প কারখানা, কৃষি ও উৎপাদন এবং সরবরাহ ব্যবস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট খাতগুলো উন্মুক্ত করা যাবে বলেও এতে বলা হয়েছে।
[১৪] সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে আদেশে বলা হয়েছে, রোজা ও ঈদ এবং ব্যবসা বানিজ্যের সুবিধা বিবেচনায় ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা দিবে উল্লেখ রয়েছে আদেশে।
ঈদের নামজ প্রসঙ্গে আদেশে বলা হয়েছে, বিদ্যমান নির্দেশনা ও বিধিবিধান প্রযোজ্য থাকবে, উন্মুক্ত স্থানে বড় কোনো জমায়েত হতে পারবে না। তবে এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় নির্দেশনা জারি করবে বলা হয়েছে আদেশে।
আপনার মতামত লিখুন :