শাহীন খন্দকার: [২] বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই চলছে লকডাউন, অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, যান চলাচল, ঘর থেকে বের হওয়ায় রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। তবে মহামারি রোধে এমন পদক্ষেপকে ‘বিশাল ভুল’ বলে মন্তব্য করেছেন স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ও রসায়নে নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী মাইকেল লেভিট।
[৩] সম্প্রতি ৭৩ বছর বয়সী এ বিজ্ঞানীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন অভিনেতা ও উপস্থাপক ফ্রেডি স্লেয়ার্স। আনহার্ড ডটকমে প্রকাশিত এ সাক্ষাৎকারে প্রফেসর লেভিট বলেন, ‘চীন করোনার হুমকি কীভাবে মোকাবিলা করেছে তা যদি বিশ্ব ভালোভাবে খেয়াল করত, তবে সরকারগুলো ভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিত। বিশেষ করে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ করত না।’
[৪] তিনি বলেন, ‘যদি আবারও একই কাজ করতে হয়, সেক্ষেত্রে আমাদের অনুরোধ হবে মুখের মাস্ক, হাত জীবাণুমুক্তকরণ, এমন পরিশোধ ব্যবস্থা চালু যেখানে স্পর্শের দরকার হয় না (যেমন: নগদ অর্থের বদলে মোবাইল ফোনে লেনদেন) এবং শুধু বয়স্কদের আইসোলেশনে রাখা।’
[৫] দক্ষিণ আফ্রিকার একমাত্র নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী বলেন, ‘‘করোনা সংকটে গৃহীত ব্যবস্থা পর্যালোচনা করলে জার্মানি ও সুইডেন সবচেয়ে বড় বিজয়ী হবে। তারা খুব বেশি লকডাউন দেয়নি- ‘হার্ড ইমিউনিটি’ (স্বয়ংক্রিয়ভাবে রোগ প্রতিরোধী হয়ে ওঠা) পাওয়ার জন্য কিছু সংখ্যক লোক অসুস্থ হয়েছে মাত্র। সেখানে অস্ট্রিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও ইসরায়েল থাকবে হতভাগাদের কাতারে। কারণ খুব বেশি মানুষ আক্রান্ত হওয়ার আগেই তারা কড়া লকডাউন জারি করেছে। এতে সমাজের বড় ক্ষতির পাশাপাশি কোনও ধরনের হার্ড ইমিউনিটি প্রতিষ্ঠিত হয়নি।’’
[৬] স্ট্যানফোর্ডের মেডিসিনস স্ট্রাকচারাল বায়োলজি ডিপার্টমেন্টের প্রধান প্রফেসর লেভিটের মতে, করোনাভাইরাসের পরবর্তী ধাক্কা থেকে প্রথম গ্রুপটি সুরক্ষিত থাকলেও ঝুঁকিতে পড়বে দ্বিতীয় গ্রুপ। সূত্র : জাগোনিউজ
আপনার মতামত লিখুন :