সালেহ্ বিপ্লব : [২] মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবীর মিলন এই প্রস্তাবনা জমা দিয়েছেন রেলমন্ত্রী ও রেলসচিবের দপ্তরে।
[৩] এতে বলা হয়েছে, কালোবাজারি রোধে যাত্রীকে ন্যাশনাল আইডি সঙ্গে রাখতে হবে। টিকেটে লেখা নামের সঙ্গে যাত্রীর আইডির নাম না মিললে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ১২ থেকে ১৮ বছরের যাত্রীদের ক্ষেত্রে জন্ম সনদ পরীক্ষা করা হবে।
[৪]জনবল অবকাঠামো পুনর্বিন্যাস এবং রিসার্চ, ডেভেলপমেন্ট ও আইটি সেল গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে প্রস্তাবনায়।
[৫] অনলাইনে করা টিকিট ফেরতের ক্ষেত্রে অনলাইন রিফান্ডের ব্যবস্থা, মধ্যবর্তী স্টেশনগুলোর যাত্রীদের সুবিধার্থে প্রতিটি কোচের নাম্বার ডিজিটাল ডিসপ্লে করা এবং ঢাকা শহরে বিভিন্ন স্থানে টিকিট কাউন্টার স্থাপনের কথা বলা হয়েছে।
[৬] ট্রেনের শিডিউল ঠিক রাখতে কোচ ধোয়ার ম্যানুয়েল পদ্ধতি বন্ধ করে কমলাপুরে অটোমেটিক ওয়াশ প্ল্যান্ট স্থাপন করতে বলা হয়েছে।
[৭] খাবারের মান বাড়াতে উন্নতমানের গ্যাস সিলিন্ডারসহ চুলা এবং ওভেন ব্যবহারের অনুমতি দিতে বলা হয়েছে।
[৮] ট্রেনে বসে এপস এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিক অভিযোগ দেয়ার ব্যবস্থা চালু, টিকিট ক্যানসেলের চার্জ কমানো এবং প্রধান স্টেশনগুলোর প্ল্যাটফর্ম উঁচু করার সুপারিশ রয়েছে।
[৯] ট্রেনের দুর্ঘটনা রোধে প্রতিটি ইঞ্জিনে ডিজিটাল সেফটি ডিভাইস স্থাপন এবং তেল চুরি রোধে ইঞ্জিনের ফুয়েল ট্যাংকে জিপিএস ফুয়েল ট্র্যাকার স্থাপন করতে হবে।
[১০] ইন্টারসিটি ট্রেনের অলাভজনক স্টপেজ ও স্ট্যান্ডিং টিকিট বন্ধ করা এবং ট্রেন বিলম্ব হলে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
[১১] ঢাকা-চট্টগ্রাম রুট এবং প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে একটি করে ননস্টপ ট্রেন চালু করা অত্যন্ত জরুরি বলে অভিমত দিয়েছেন অতিরিক্ত সচিব।
[১২] এছাড়াও ট্রেনে কর্মরতদের জন্য ওয়াকি টকি ও মোবাইল সরবরাহসহ বেশ কিছু সুপারিশ রয়েছে প্রস্তাবনায়।
আপনার মতামত লিখুন :