শিরোনাম
◈ গাজীপুরে কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে চীনা নাগরিকের মৃত্যু ◈ প্রধানমন্ত্রীর সৌদি আরব ও গাম্বিয়া সফর বাতিল ◈ এ বছর জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫.৭%: আইএমএফ ◈ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হবিগঞ্জের দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, ৪ পুলিশ সদস্যসহ আহত ২০ ◈ মার্চ মাসে সারাদেশে ৬২৪ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৫০, আহত ৬৮৪  ◈ ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ককে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে হবে: হর্ষবর্ধন শ্রিংলা ◈ অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৯ সদস্য আটক ◈ পাকিস্তানের মুশতাক আহমেদ বাংলাদেশের নতুন স্পিন কোচ ◈ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কারিকুলাম যুগোপযোগী করার তাগিদ রাষ্ট্রপতির ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত : ১৪ মে, ২০২০, ১০:১৫ দুপুর
আপডেট : ১৪ মে, ২০২০, ১০:১৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কোভিড ১৯ এ সুইডেনে কমতে শুরু করেছে আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা

শফিউল আলম , সুইডেন থেকে : [২] প্রানঘাতি কোভিড ১৯ এর বিস্তার ঠেকাতে ইতালী স্পেনসহ ইউরোপের বেশির ভাগ দেশ লকডাউন করেও যেখানে হিমশীম খাচ্ছে, সুইডেন সেখানে অফিস, ব্যাংক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে চলছে। পানশালা- রেস্তরা সব কিছুই খোলা আছে এখানে। দেশটির এ লক ডাউন নিয়ে শুরু থেকেই আলোচনা সমালোচনা থাকলেও বর্তমানে আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা কমতে শুরু করছে। গত রোববার আক্রান্ত হয় ৪০১ জন এবং মৃত্যু বরণ করে ৫ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্ত ২৬৩২২ এবং মৃত্যুবরন করেণ ৩২২৫ জন। এ পর্যন্ত ৪৯৭১জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফেরায় আশার আলো দেখছেন অনেকে।

[৩] চিকিৎসাবিদ্যায় উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা: বিপ্লব শাহনেওয়াজ বলেন, লক ডাউন না করা সুইডেনের এই কৌশল নিয়ে সারা বিশ্বে আলোচনা সমালোচনা থাকলেও সুইডেন আস্তে আস্তে হার্ড ইমিউনিটির দিকে যাচ্ছে। সুইডেনে যারা আক্রান্ত হন তার বেশির ভাগ ছিলেন বৃদ্ধাশ্রমগুলোতে। যার কারনে উত্তর ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় এখানে মৃত্যুহারটা বেশি। সুইডেন লকডাউন না করেও প্রথমেই ভালো একটা পরিকল্পনা গ্রহন করে । হাসপাতালগুলোতে ওয়ার্ড এবং আসন সংখ্যা বাড়িয়েছে। আইসিওর সংখ্যা দ্বিগুন করেছে। এখনো আমাদের হাসপাতালগুলোতে আইসিওসহ ওয়ার্ড এবং বেড সংখ্যা পর্যাপ্ত রয়েছে।

[৪] সুইডেনের বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো খোলা রাখা হয়েছ। যারা জরুরী বিভাগে কাজ করেন তাদের কথা বিবেচনায় রেখেই মূলত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এবং ডে কেয়ার সেন্টার খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এখন পর্যন্ত কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিপর্যয়ের কোন খবর আসেনি। এখন পর্যন্ত কোন শিশুর মৃত্যু হয়নি দেশটিতে। রাজধানী স্টকহোমের একটি ডেকেয়ার সেন্টারে কাজ করা সোনিয়া আক্তার তিথি জানান, আমরা বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করি। আগের থেকে আরো সতর্ক এবং সচেতন আছি । আমাদের স্বাস্থ্যবিধির উপর আগের থেকে বেশি নজর রাখতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমাদের এখানে কোন শিশু আক্রান্ত হয়নি।

[৫] সুইডেনে যারা মৃত্যুবরণ করেন তার বেশির ভাগই ৭০ বছরের বেশি বয়স এবং তাদের বেশির ভাগই বৃদ্ধাশ্রমে থাকতেন। সুইডেনে বাংলাদেশি চিকিৎসক বয়োজেষ্ঠ রোগ বিশেষজ্জ্ঞ ডা: রাইসুল ইসলাম খান জানান, এখানে আক্রান্তের বেশির ভাগই বরস্ক। বর্তমানে আমরা স্বাভাবিক অবস্থার দিকে যাচ্ছি। তবে বয়স্ক রোগী যাদের স্মৃতিশক্তির সমস্যা রয়েছে এবং যারা ওল্ড হোমগুলোতে বসবাস করছে, তাদের অবস্থানটা এখনো উন্নতি হয় নাই। এখনই আমরা ঝুকিমুক্ত বলা যাবে না, আমাদেরকে সতর্কতার সাথে কভিড ১৯ মোকাবেলা করতে হবে।

[৬] সরকার করোনা ভাইবাস রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা না করে, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের উপরই ভরসা করে। প্রানঘাতি কভিড ১৯ মহামারি মোকাবেলা করতে দীর্ঘ মেয়াদী কৌশল প্রয়োজন বলে মনে করে সুইডেন। জনগনের স্বাধীন ইচ্ছাকে গূরত্ব দিয়ে লক ডাউন না করেলও সরকার নানামুখী অর্থনৈতিক কর্মকান্ড গ্রহন করে। ব্যবসায়ীদের প্রনোদনা সহ চাকরীজীবিদের করোনা সন্দেহ থাকলে বা অসুস্থ্যবোধ করলে ১৪ দিন ছুটির ঘোষনা করে ।

[৭] সুইডেনের কৌশল নিয়ে ভিন্ন মতামত থাকলেও সুইডেন মূলত মজবুত স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপরই জোর দিচ্ছে। কোন দেশই সঠিকভাবে বলতে পারবে না সঠিক সিদ্ধান্ত কোনটি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন কম ঘনবসতিপূর্ন দেশ হওয়ায় এমন ভিন্ন কৌশল নিতে পেরেছে সুইডেন। লকডাউন না করেও করোনা সংক্রামন ঠেকানো গেলে সুইডেন হবে বিশ্বে এক অনন্য উদাহরণ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়