বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি সিকিউরিটিজ ও বন্ড কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বন্ধক রেখে প্রয়োজনে নগদ অর্থ সংগ্রহ করতে পারবে। টাকার পরিমাণ ও সুদ নির্ধারণ হবে নিলামের মাধ্যমে। দীর্ঘ মেয়াদী এই রোপোর মেয়াদ হবে ৩৬৫ দিন।
[৩] বাংলাদেশ ব্যাংকের নগদ সরবরাহের এই ঘোষণাকে সময়পোযুগি বলেছেন ব্যাংকাররা। তারা বলেছেন করোনা পরবর্তি অর্থনীতি উদ্ধার করতে নগদে যোগান বৃদ্ধি করতে এটা একটি ভাল সিদ্ধান্ত। অনেক ছোট ছোট ব্যাংকও এখন ঋণ দিতে পারবে। এমনকি কম সুদেও ঋণ দিতে পারবে।
[৪] ব্রাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ১লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার সরকারি বন্ড বা ট্রেজারি রয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে। এগুলো বন্ধক রেখে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণ দিলে, বিপুল পরিমাণ ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। তারল্য সংকট থাকবে না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুদের হার কম হতে হবে।
[৫] পূবালী ব্যাংকের এমডি, এমএ হালিম চৌধুরী বলেন, খুবই ভাল সিদ্ধান্ত। ঈদের আগে অনেক ব্যাংকেরই নগদ অর্থের সমস্যা হয়। এখন এটি আর থাকবে না। তা ছাড়া ব্যাংকের কাছে টাকা থাকলে সেটিতো নিয়ে বসে থাকবে না। ঋণ দিবে। তাতে অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
[৬] করোনায় আর্থিক ক্ষতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক যেসব প্রণোদণা প্যাকেজ চালু করেছে বিশেষ রেপোর মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ সেই প্যাকেজ ঋণেই ব্যবহার করতে পারবে।
আপনার মতামত লিখুন :